বিজ্ঞাপন

দুঃস্বপ্নের তিন সিরিজে সিনিয়ররা

February 19, 2018 | 2:08 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

উড়তে থাকা বাংলাদেশ কিভাবে মাটিতে নেমেছে সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা বেশ উড়ন্তই করেছিল মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশের সিনিয়র এই পাঁচ তারকা একসঙ্গে সব সিরিজে ছিলেন না। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ, এরপর দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।

স্বাগতিকরা ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার সুযোগ পেয়েছে ৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। এরপর দুটি টেস্ট আর দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। একমাত্র মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহই সবগুলো ম্যাচ (৯টি) খেলতে পেরেছেন। মাশরাফি শুধু খেলেছেন ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে। সাকিবও তাই। তামিম সবগুলোই খেলতে পারতেন তবে, ইনজুরির কারণে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি।

বাংলাদেশের এই সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারকে বলা হয় টাইগারদের স্তম্ভ। যাদের খুঁটির জোরে দাঁড়িয়ে থাকে পুরো বাংলাদেশ। দেখা যাক তিন সিরিজে তারা কেমন পারফর্ম করেছেন (বিশ্লেষণভিত্তিক নয়)।

বিজ্ঞাপন

মাশরাফি: বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ২৫ রান খরচায়। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নামা না হলেও পরের চারটি ম্যাচেই ব্যাট করেছেন। রান করেছেন যথাক্রমে ৬, ০, ১ ও ৫। আর বল হাতে পরিসংখ্যান ছিল ২/৩০, ২/২৯, ০/১৫ এবং ১/৩৫।

সাকিব: হাতের ইনজুরিতে পড়েছিলেন ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন সাকিব। ইনজুরিতে পড়ার আগে ব্যাট হাতে সাকিব করেছিলেন ৩৭, ৬৭, ৫১ এবং ৮। ফাইনালে ব্যাট করতে পারেননি তিনি। আর বল হাতে সাকিবের পরিসংখ্যান ৩/৪৩, ৩/৪৭, ৩/৩৪, ০/১০ এবং ০/২০। সিরিজটা যে তার দুর্দান্ত কেটেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তামিম: ত্রিদেশীয় সিরিজের পাঁচ ম্যাচেই ব্যাট করেছেন ওপেনার তামিম। সিরিজটা তামিম মনে রাখবেন বহুদিন। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও করেছিলেন ৮৪ রান। তৃতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ৭৬ রানের ইনিংস। পরের দুটি ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫ ও ৩ রান। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ছিল ৫২ ও ৪১ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪ ও ২ রান। আর প্রথম টি-টোয়েন্টি না খেললেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ২৯ রান।

বিজ্ঞাপন

মুশফিক: ত্রিদেশীয় সিরিজের পাঁচ ম্যাচে মুশফিক ব্যাট হাতে করেছেন যথাক্রমে ১৪*, ৬২, ১৮, ২৬ এবং ২২। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে করেন ৯২ এবং ২ রান। আর দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১ ও ২৫ রান। টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকলেও মুশফিক শেষ ম্যাচে করেছেন ৬ রান।

মাহমুদউল্লাহ: ত্রিদেশীয় সিরিজের পাঁচ ম্যাচের প্রথমটিতে ব্যাট করা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। পরের চারটি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৪, ২, ৭ এবং ৭৬ রান। সাকিবের ইনজুরিতে টেস্টের অধিনায়কত্ব পান মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৮৩ এবং অপরাজিত ২৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ এবং ৬ রান। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও তার কাঁধেই থাকে নেতৃত্বভার। দুই ম্যাচে তিনি করেন ৪৩ এবং ৪১ রান।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন