বিজ্ঞাপন

মিশন: গো ফর গোল্ড; স্বর্ণজয়ী কোচ নিয়োগ

February 19, 2018 | 5:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

দেশের সম্ভাবনাময় খেলা আর্চারিতে আন্তর্জাতিক সাফল্য অধরা। তা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আর্চারিতে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে এশিয়ান পর্যায়ে। এবার অলিম্পিকে চোখ ফেডারেশনের। তাই মোটা অংকের অর্থ ব্যয়ে নিয়োগ দিয়েছে জার্মান কোচ ফ্রেডরিক মার্টিনকে।

পাঁচ বছরের জন্য মার্টিনকে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ছয়দিন আগে এসে আর্চারির অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা দেখে কোচের চাহিদা ও ফেডারেশনের লক্ষ্য ঐক্যমতে পৌঁছালে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্রে সই করেছেন তিনি।

এর আগে জার্মানি জাতীয় দলে খেলা এই কোচ দেশটির প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও কোচের ঝুলিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের একাধিক স্বর্ণসহ পদক পাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।

বিজ্ঞাপন

তার সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় ফেডারেশন। ২০২৩ সালে টোকিও অলিম্পিককে লক্ষ্য করে ‘তীর গো ফর গোল’ নামে প্রতিপাদ্য সেট করে পাঁচ বছরের জন্য মার্টিনকে নিযুক্ত করেছে দেশের সর্বোচ্চ আর্চারি সংস্থাটি। তবে, এ সময়ের ভেতরে ছয় মাস অন্তর অন্তর খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স রিপোর্ট জমা দেবেন কোচ। তার রিপোর্টের মূল্যায়ন করে সামনে এগুবে ফেডারেশন। তাছাড়া বাৎসরিক একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে কোচকে।

‘হাই পারফরম্যান্স’ এই কোচকে মাসিক পাঁচ হাজার ডলার বেতন দেবে ফেডারেশন। সঙ্গে কোচের মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সের ৯০ ইউরো পরিশোধ করবে তারা। আবার যাতায়াতের জন্য একজন ড্রাইভারসহ একটি গাড়ি দেয়া হবে, থাকার জন্য একটি ফ্লাট দেয়া হচ্ছে। আর খাওয়া-দাওয়ার জন্য বরাদ্দও থাকছে।

এতোকিছু দিয়েও সাফল্য চায় ফেডারেশন। মার্টিনের সঙ্গে দেশের যুব দলের কোচ জিয়াকে সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক টুর্নামেন্ট আছে সামনে। সেখানেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের আওতায় আনা হবে। তবে, সাম্প্রতিক সাফল্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বিশ্বের বাঘা কোচের নিয়োগ জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, ‘স্বপ্নটা বড় হতে হবে। তাহলে কিছু অর্জন করা যাবে। সেজন্য বড় কোচকে নেয়া হয়েছে। আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয় দল ছাড়াও বয়সভিত্তিক দল ও তৃণমূল থেকে আর্চারি খেলোয়াড় বের করে আনতেও কাজ করবেন এই কোচ। এমনটাই জানিয়েছেন চপল। দীর্ঘদিনের কোচ নিশীথ দাসকে দলে রেখে বাংলাদেশে আর্চারিতে কাজে লাগানোর চিন্তা ফেডারেশনের, ‘তিনি ভালো কোচ। দীর্ঘদিন ধরে আছেন। যে খেলা জানেও না তাকেও শেখাতে পারেন তিনি। তাকে কাজে লাগাতে চাই অন্যভাবে।’

সদ্য নিযুক্ত কোচের মুখেও আশ্বাস, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো ভালো, আমি আশাবাদী। কম্পাউন্ড আর রিকার্ভ পুরুষ আর্চারি নিয়ে কাজ করবো। ভালো কিছুই হবে।’

আগামী মার্চে আন্তর্জাতিক দুটি ইভেন্ট আছে। দক্ষিণ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট আছে। এছাড়া এই সময়ে ভেতওে যুব বাংলাদেশ গেমস, স্বাধীনতা কাপের মতো জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপও আছে। এখানেই বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন মার্টিন।

এখন মাঠে নেমে যাওয়াই কাজ তার…

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন