বিজ্ঞাপন

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : আপিলের রায় রোববার

November 25, 2017 | 1:11 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

বহুল আলোচিত ও ইতিহাসের কলঙ্কজনক পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথরেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের রায় আগামীকাল রোববার ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। এ লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়ের জন্য মামলাটি কার্যতালিকার এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আদালতের দেয়া সর্ববৃহৎ মৃত্যুদণ্ডের এ রায়কে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। অপেক্ষায় আছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনেরাসহ বিচারপ্রার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ এপ্রিল সকল আসামির ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছিল। এরপর দুই বছরেরও অধিক সময় এ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম জাহিদ সরওয়ার কাজল সারাবাংলাকে জানান, ‘৩৭০ কার্যদিবস মামলায় শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। তাতে নিম্ন আদালতের দেয়া সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার পাশাপাশি কম সাজাপ্রাপ্তদের সাজা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করছি ।’

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ মামলায় শুনানি করেছি। আমার ক্লায়েন্টদের পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছি। আশা করছি আদালত সার্বিক বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে রায় ঘোষণা করবেন। সেই অপেক্ষায় আছি।’

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রাজজ আদালতের বিচারক ড. মো.আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ইতিহাসের কলঙ্কজনক এবং সর্ববৃহৎ এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) কারাদণ্ড এবং ২৭৮ জনকে খালাস প্রদান করা হয়। এছাড়া চার আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তারা অব্যাহতি পায়।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্তআসামিরা তাদের সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

এ মামলার আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এজন্য মোট ১২লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। মামলায় সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিজ্ঞাপন

পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামি দাঁড়ায় ৮৫০ জনে।

এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন