বিজ্ঞাপন

ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার কম

January 7, 2020 | 2:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বা এডিপি বাস্তবায়ন কম। চলতি অর্থবছরের এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব মো.নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।

এম এ মান্নান জানান, এডিপিতে গত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ৫৬ হাজার ৭১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের ৬ মাসে খরচ হয়েছিল ৪৯ হাজার ৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের যেকোনো ব্রীজের গোড়া বা আশপাশ থেকে বালু না তুলতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং সেইসঙ্গে যেসব বেইলী ব্রীজ অপসারণ করা হবে সেগুলো ফেলে না রেখে অকশনে বিক্রির নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের গুরুত্ব দিয়ে নদীর পানি বিশুদ্ধ করে পান করার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা এখন নতুন রাস্তা তৈরির চেয়ে বিদ্যমান রাস্তা, প্রশস্তকরণ, উন্নয়ন, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং বিভিন্ন পয়েন্টে আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। সেজন্য একনেকে সড়কের প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবারের একনেকে সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহসহ ৭ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকেল্পে অনুমোদন দেন।

একনেকে অনুমোদন হওয়া ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মধ্যে সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এটি চলতি মাস থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। এর আওতায় সারাদেশে নলকূপ ও পানির উৎস নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে একটি পানির উৎস ব্যবহার করে ৮৮ জন। সেটি কমিয়ে ৫৫ জনে নামাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ছোট বেলায় কলেরায় আমার বোন মারা গিয়েছিল। তখন বিশুদ্ধ পানির প্রচণ্ড অভাব ছিল। তিনি জানান, গ্রাম হবে শহর। শহরে যেমন কল ঘুরালেই পানি পান তেমনি এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামে পানি সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের সিংড়া অংশে বাঁধ উচুকরণ, পেভমেন্ট নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পে খরচ হবে ১৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে খরচ হবে ১৩০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন থেকে বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষায় নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাবাঁধ কাজ, খরচ হবে ২৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। জরাজীর্ণ,অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলী সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাকা জোন), খরচ হবে ১ হাজার ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপনে খরচ হবে ৪১২ কোটি টাকা এবং নরসিংদী বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ হবে ৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন