বিজ্ঞাপন

ধর্ষকের বিচার দাবি পথচিত্রে

January 7, 2020 | 7:05 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পায়রা শান্তির প্রতীক। পুরুষের হৃদয় থেকে শান্তির পায়রা আজ বেরিয়ে যাচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী আজ ধর্ষকের কালো হাতে রঞ্জিত। পুরুষের রক্তচোখ ও হিংস্রতায় নারীরা অসহায়।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তুলির আঁচড়ে এই চিত্রই ফুটে উঠেছে। ‘প্রতিবাদ হবে রক্ত-পলাশে, রক্তজবায়’— প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ছাত্রলীগ ‘প্রতিবাদী আল্পনা অঙ্কন’ কর্মসূচি পালন করে।

বিশ্বদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা পথচিত্রে নারী-পুরুষের সমাজ জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে আঁকা একটি আল্পনায় দেখা যায়, একজন পুরুষের বুক থেকে একটি সাদা পায়রা উড়ে যাচ্ছে। কাঁটা তারের পাশে তার সারা শরীল রক্তিম, মুখে কালো। তার চোখে-মুখে হিংস্রতার ছাপ।

অন্য একটি একটি আল্পনায় লেখা ‘আমি বাংলাদেশ, আমি লজ্জিত’। সেখানে লেখা, নো মিনস নো— না-এর কোনো বিকল্প অর্থ হয় না।

রোকেয়া হল থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত কয়েকটি আল্পনা আঁকা হয়।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচি প্রসঙ্গে চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি তন্ময় দেবনাথ সারাবাংলাকে বলেন, সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই শৈল্পিক প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিরাজমান ধর্ষণ সংস্কৃতির কুৎসিত দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা একটি সুন্দর সমাজ চাই।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্মসূচিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ধর্ষক ধর্ষকই। তার কোনো দল নেই, ধর্ম নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন