পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি বন্ধ, চালু হয়েছে শিমুলিয়ায়

সারাবাংলা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে দেশের প্রধান দুই নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িতে সারারাত নৌচলাচল বন্ধ ছিল। পরে সকালে কুয়াশা কমলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌচলাচল শুরু হয়েছে। তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে এখনো নৌচলাচল শুরু হয়নি। এতে করে নদীর দুই পাড়ে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন, ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌচলাচল শুরু হলেও যানবাহনের চাপ রয়েছে নদীর দুই পাড়েই।

মুন্সিগঞ্জ থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত থেকেই ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করায় দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে যায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ রুটে নৌচলাচল শুরু হয়। এসময় ঘাটে লোড থাকা পাঁচটি ফেরি কাঁঠালবাড়ির পথে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে লোড থাকা তিনটি ফেরি শিমুলিয়ার পথে রওনা হয়। রাতে মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকা ছয়টি ফেরি দুই ঘাটে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

মাওয়া ঘাটে দায়িত্বরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাজাহান আলী জানান, কুয়াশার কারণে রাত দেড়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ১৪টি ফেরি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ রয়েছে। আশা করছি, দুপুর নাগাদ চাপ কমে যাবে।

এই নৌরুটে পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জর লৌহজং উপজলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন অপেক্ষমাণ। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। ঘাটে আটকা পড়া নাইট কোচগুলোকে আগে পারাপারের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, মানিকগঞ্জ থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নৌচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্তও এ রুটে নৌচলাচল শুরু হয়নি।

বিআইডাব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে কুয়াশায় পড়তে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে কুয়াশার মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাতে থেকে মাঝ নদীতে পাঁচটি ফেরি আটক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পাটুরিয়া ঘাটে বাস-ট্রাকসহ ছোট-বড় চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর