বিজ্ঞাপন

‘বেশিরভাগ মানুষকে অস্বস্তিতে রেখে উৎসব কতটুকু সফল হবে?’

January 11, 2020 | 3:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘মুজিববর্ষ’ উৎসবের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ উৎসব সাধারণ মানুষের হৃদয়ে কতটুকু থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘উৎসব পালন করছেন ভাল কথা। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে উৎসব পালন করছেন আপনারা। গণতন্ত্রের নেত্রীকে কারাগারে রেখে উৎসব পালন করা হচ্ছে। সুতরাং এই উৎসব দেশের মানুষের হৃদয়ে কতটুকু থাকবে, সে কথা চিন্তা করে দেখা দরকার। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অস্বস্তিতে রেখে, দুরবস্থায় রেখে এই উৎসব কতটুকু সফল হবে— সেটা অবশ্যই আপনাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।’

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারলে আমি পারব না কেন?’— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি অবশ্যই পারবেন। তার আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়ুন, সংসদ সদস্য পদ ছাড়ুন।’

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ছেড়ে দিয়ে মাঠে নামুন। আপনি নৌকায় ভোট চান। আমি ধানেই শীষে ভোট চাই। তার পর দেখা যাক জনগণ কাকে বেছে নেয়। অর্থাৎ আমি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছি। কিন্তু আপনারা সেটা করবেন না। কারণ, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে আপনারা জিততে পারবেন না।’

‘আর নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যদি ভোট হয়। সেই ভোটে যদি আপনার জিতে আসেন, তাহলে আমরা হাজার বার আপনাদের মেনে নেব। স্বাগত জানাব— বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘খালেদা জিয়া এমন কিছু অসুস্থ নয় যে, তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে চিকিৎসার জন্য’— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আমরা আশা করি না। আপনি একটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক। প্রভাবশালী মন্ত্রী। আপনার কাছ থেকে একজন রাজনীতিবিদের মতো বক্তব্য আমরা আশা করি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। দিন দিন তার অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। আর বিলম্ব না করে এই মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিন। অন্যথায় তার যে কোনো ধরনের অবস্থার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনাদের বহন করতে হবে।’

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পেশাজীবী নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, রুহুল আমীন গাজী, অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, কাদের গণি চৌধুরীসহ অনেকেই।

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন