বিজ্ঞাপন

গা ঢাকা দেওয়া মাদকের গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

January 12, 2020 | 3:11 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযান এখনো বন্ধ হয়নি। মাদকের গডফাদারদের ধরতে এখনো অভিযান অব্যাহত আছে। গত দুই বছরে এসব গডফাদারদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।  আর যারা এখনো পালিয়ে বা গা ঢাকা দিয়ে আছে সেসব যেসকল গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। যেখানেই খবর পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তাদের পাকড়াও করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ‘নারকোটিকস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (নিমস) এর টিভিসি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ সব বাহিনী কাজ করছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে। এমনকি যেসকল গডফাদার পালিয়ে ছিল বা গা ঢাকা দিয়েছে তাদেরও খোঁজা হচ্ছে। যেখানেই খবর পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তাদের পাকড়াও করা হবে।

মিয়ানমার বর্ডারের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, টেকনাফ সীমান্তে বর্ডার রোড করা হবে। অচিরেই তার কাজ শুরু হবে। বিজিবিকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে। দুর্গম ও সীমান্ত এলাকায় তারা কাজ করবে । এছাড়া কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেউ ইয়াবা তৈরি করছে না। ছোট্ট একটি জায়গায় ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে। তাদের জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। স্থানীয়দেরও অনেক কষ্ট হচ্ছে। এরপরেও আমরা তাদের ওপর নজরদারি করছি। ইয়াবা তৈরির সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত না থাকলেও তারা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।  এ বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যেভাবে জঙ্গি -সন্ত্রাস কন্ট্রোলে আনতে পেরেছি, একইভাবে মাদককেও কন্ট্রোলে আনতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে যাতে তরুণরা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে আমরা তিন পর্বে কাজ শুরু করেছি। সাপ্লাই হ্রাস, ডিমান্ড হ্রাস ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। ডিমান্ড হ্রাসের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। মাদকের কুফল সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, নিমস চালুর ফলে মাদক সংক্রান্ত সবকিছু এখন থেকে ডিজিটালি পাওয়া যাবে। মামলার ব্যবস্থাপনা, মাদকের লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা, সেম্পল এনালাইসিস ব্যবস্থাপনা, অপারেশন ব্যবস্থাপনা, মাদকের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ও ভ্রাম্যমান সার্ভিস নিমসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সবকিছু একটি প্লাটফর্ম থেকে পাওয়া যাবে।

টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান বলেন, কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চায় তাহলে সে যেন ধুমপান অথবা মাদক সেবন শুরু করে। মাদক এমনই ভয়াবহ। যুব সমাজ আগে বুঝতে পারে না। মাদকাসক্ত হওয়ার পর বুঝতে পারে। তাই যেকোনো উপায়ে হোক মাদকের হাত থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন