বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা না বুঝে ভোট পেছানোর আন্দোলন করছে: ইসি সচিব

January 15, 2020 | 7:23 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা না বুঝেই আন্দোলন করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কমিশনের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২৯ তারিখ হলো সরস্বতী পূজা, ৩০ তারিখে পূজা নেই। আর ১ তারিখ থেকেই মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা। নির্বাচন করার জন্য মাঝে কেবল একদিনই সময় আছে, যেদিন নির্বাচন করা যায়। আর তা হলো ৩০ জানুয়ারি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাইকোর্টে রিট করেছিল, সে রিটটিও খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তাদের যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। আদালত নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখটি যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন তাই রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।’

ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, ‘তারা বলেছিলেন আপিল করবেন, কিন্তু আমি কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এখন পর্যন্ত কোনো আপিল করা হয়নি। যেহেতু আপিল হয়নি, আর আপিল বিভাগ থেকে কোনো নির্দেশনাও আসেনি। তাই নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ তারিখ যে নির্ধারণ করেছেন তা ঠিক আছে।’

ভোটের তারিখ পরিবর্তনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এতে নির্বাচনে প্রভাবে পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কথা না। কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যাবে, তাদের আন্দোলন করা ঠিক হচ্ছে না। এটি হয়তবা ছাত্ররা না বুঝে করছে। তাদের বুঝতে হবে, সরস্বতী পূজা হলো ২৯ তারিখ, নির্বাচন হচ্ছে ৩০ তারিখে। ১ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা, ফলে নির্বাচন পেছানো বা আগানোর কোনো সুযোগ নেই।’

বিজ্ঞাপন

মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় ৩০ তারিখ, সেদিন নির্বাচন হবে। ছাত্ররা যারা আন্দোলন করছে তারা বয়সে নবীন। তারা হয়ত কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে আন্দোলন করছে। আমার ধারনা একটু পরেই বুঝে যাবে এটি আসলে করা ঠিক হচ্ছে না।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন