বিজ্ঞাপন

মামলা প্রসঙ্গে ইশরাক- আমাদের থামানো যাবে না

January 16, 2020 | 1:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের আহত করা হয়েছিল, ভাইস চেয়ারম্যানদের গুলি করা হয়েছিল, এমপি ক্যান্ডিডেটদের রক্তাক্ত করা হয়েছিল। সেই বাধাই আমরা মানি নি। এখন আবার পুরোনো মামলায় সচল করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে কোনোভাবেই থামানো যাবে না। আমরা কোনো বাধাই মানব না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে সপ্তম দিনের নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর সময় এসব কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালে ইশরাকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলা সম্পর্কে ইশরাক বলেন, ‘আমার কাছে নতুন করে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়নি। আমার কাছে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন আমার বয়স মাত্র ১৮ বছর। তখন আমি একজন ছাত্র। থাকতাম বাইরে। তখনকার সেনা সমর্থিত সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করার উদ্দেশ্যে এই সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

‘পরে ২০১০ সালে যখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমার বাবা যুক্ত হন, তখন আমার বাবার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আমার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার এই মামলাটি করে। তারপর এই মামলার কোনো গতিবিধি ছিল না। ২০১৮ তে যখন আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার মনোনয়নপত্র দাখিল করি, তখন তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশিট অ্যাপ্রুভাল করা হয়’— বলেন ইশরাক।

তিনি বলেন, ‘তারপর এই এক বছর একাধিকবার হাজিরা দিয়েছি। গতকাল সেই হাজিরারই একটা অংশ ছিল। এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে অবশ্যই এটি নতুন করে নাড়াচাড়া করছে সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।’

ইশরাক বলেন, ‘প্রত্যেকদিন আমাদের জনসমাগম বিপুল পরিমাণে বেড়েই চলছে। এই জনস্রোতে ভেসে যাবে সব। কোনো কিছু আমাদের আটকাতে পারবে না। সরকার এই জনস্রোত, গণজোয়ার দেখে ভিত। তারা নানা অপকৌশল-কূটকৌশল করছে এবং নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’

বিজ্ঞাপন

‘আমি বলে দিতে চাই, কোনো কিছু কাজ করবে না। জনগণের স্রোতে সব ভেসে যাবে। ভোট ডাকাতির ইভিএমও কাজ করবে না। এই যে জনস্রোতটা সৃষ্টি হয়েছে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে- এটা যেন অব্যাহত থাকে। কোনো কিছুতেই আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। আপনারা আপনাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি সেটিকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাব। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব’— বলেন ইশরাক হোসেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থক।

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন