বিজ্ঞাপন

‘দুদকের মামলায় ইশরাকের প্রচারণা চালাতে বাধা নেই’

January 16, 2020 | 7:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে কোনো বাধা নেই। ইসির পক্ষ থেকে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা ছিল, কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে যদি নির্বাচন পরিচালনা বা সমর্থনকারীকে পুরনো মামলায় যেন গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়। ফলে ইশরাককে গ্রেফতারও করা হচ্ছে না, এমনকি কোনো বাধার সৃষ্টিও করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনো বাধা নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘ইশরাকের বিরুদ্ধে এটা একটা দুর্নীতির মামলা। তবে বিষয়টি এ ধরনের না যে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে না। এটা আদালতে শুনাননি হয়েছে, আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে তখন শুনানি দেবেন তারা। এর ফলে তো নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো বাধা নেই।’

ধানের শীষের পক্ষে পথসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট

সরস্বতী পূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটের তারিখ পরিবর্তন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে রায় আসবে কমিশন তা অবশ্যই মেনে নেবেন। আমাদের সব সময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোনো আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেয় সে ক্ষমতা আদালতের আছে।’

বিজ্ঞাপন


‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে। আমরা আশা করব হাইকোর্ট যেসকল যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন তারা নিশ্চয়ই যুক্তি শুনবেন, তারপরও তারা যেকোন সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে’, যোগ করেন সচিব।

তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ এসএসসি পরীক্ষা, মার্চে স্বাধীনতার মাস, তারপর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষীকি পালনের নানা প্রোগ্রাম আছে। এরপর এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে, প্রচারের জন্য। এক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবে। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবে। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সচিব বলেন, ‘সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা করতেন। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম কোনো সমস্যা ছিল না।’ সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেওয়ায় সেদিন ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন