বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারের রাখাইন পল্লী রক্ষায় বেড়িবাঁধের নকশা পরিবর্তনের দাবি

January 24, 2020 | 1:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে প্রায় চারশ বছরের পুরনো রাখাইন পল্লীসহ তিনটি বৌদ্ধ বিহার ও তিনটি শ্মশান রক্ষায় চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটির নকশা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠন। নকশা পরিবর্তন করে বেড়িবাঁধটি পশ্চিম দিকে সরকারি পরিত্যক্ত জমিতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মংচোওয়ান রাখাইন অভি, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোতি ত্রিপুরা,  রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যা উল্মামং, মংছাই সুই, মংঞোছাসহ অন্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, কক্সবাজার জেলার ৬ নম্বর চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে চারশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখাইন সম্প্রদায় বসবাস করছে। আদিকাল থেকে পেশায় মৎস্যজীবী হওয়ায় রাখাইনদের বসবাস বর্তমান উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। একই এলাকায় মুসলিম, হিন্দু, খিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে। রাখাইন পল্লী ছাড়াও এই এলাকায় চারটি বৌদ্ধ মন্দির ও তিনটি শ্মশান রয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে মানববন্ধনে জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন ও উপকূল সুরক্ষার জন্য সরকার প্রণীত একশ বছরের ‘ডেল্টা প্ল্যানে’র আওতায় চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ বা সুপার ডাইক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীন অংশেই রাখাইন পল্লীর শতাধিক বসতবাড়ি, তিনটি বৌদ্ধ মন্দির ও তিনটি শ্মশানের অবস্থান। এগুলো উচ্ছেদের জন্য এরই মধ্যে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট তালিকা ও জরিপ প্রণয়ন করেছে।

বক্তারা বলেন, এর আগে রাখাইনদের বসতবাড়িসহ বৌদ্ধ মন্দির ও শ্মশান রক্ষায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই প্রকল্প চলমান থাকায় রাখাইন জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি বৌদ্ধ মন্দির ও শ্মশানগুলোও বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এ পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পের আওতায় চলমান উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে প্রকল্পটি সুরক্ষিত বেড়িবাঁধের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড মালিকানাধীন সরকারি পরিত্যক্ত জমিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানান্তরের দাবি জানাই। এতে করে প্রায় ছয়শ রাখাইন পরিবারকে বাস্তুচ্যুত হতে হবে না এবং রাখাইন জনগোষ্ঠী বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন