বিজ্ঞাপন

৯০ দিন নয়, সেবা পেতে ৯০ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হবে না: তাবিথ

January 27, 2020 | 12:56 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ দিন নয়, ৯০ ঘণ্টার আগেই সেবার কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র নির্বাচিত হলে কত দিনে কাজ শুরু করতে পারবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিন পর কার্যক্রম শুরু করতে হয়। কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ৯০ দিন নয় মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হবে না। প্রথম দিন থেকেই সেবা কার্যক্রম শুরু করবো।’

ডেঙ্গু, দূষণ এবং জলাবদ্ধতা কতদিনে নিরসন করবেন— জানতে চাইলে তাবিথ বলেন, ‘আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা কাজ করেছি। যদি ১ এপ্রিল থেকে ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে আমরা প্রথমে লার্ভা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এটা প্রথম দিন থেকে শুরু করবো। দূষণের ব্যাপারে হাইকোর্ট ৯টি নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে। তাই সেসব নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনী সব উদ্যোগ আমরা নিবো।’

বিজ্ঞাপন

বাড়ি ভাড়া বাড়লেও বাড়ছে না আয়, মেয়র হলেন এ বিষয়ে কি উদ্যোগ নিবেন? জবাবে তাবিথ বলেন, ‘আমাদের ব্যয় বাড়লেও সে তুলনায় আয় বাড়ছে না। তাই সে জন্য আমরা মধ্যবিত্তদের এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য চিন্তা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যেটি সবার জন্য গ্রহনযোগ্য এবং মঙ্গলজনক।’

ক্ষমতায় এলে বিরোধী দল হিসেবে কিভাবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন? জবাবে তাবিথ বলেন, ‘আমরা এখনও দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আছি। তাই দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা ১ তারিখে নির্বাচিত হয়ে নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ণ করবো। আর এজন্য যেটি প্রয়োজন সেটির জন্য যা যা করণীয় আমরা করবো।’

নারীবান্ধব নগর গঠনের বিষয়ে তাবিথ বলেন, ‘নারীদের জন্য সড়কে নিরাপত্তা, পরিবহন সহজলভ্যতাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। মেয়র নির্বাচিত হলে আমরা অবশ্যই নারীদের জন্য সেসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্বমানের ঢাকা গড়তে তাবিথের ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা

সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, কিন্তু সমাধানে প্রয়োজন সমন্বয় সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ নেই ইশতেহারে এবং দু’য়েকটি দফা ছাড়া বাকি সবগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন সমন্বয়। নির্বাচিত হলে সমন্বয়ের বিষয়ে কি উদ্যোগ নেবেন? জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের অধিনে সমন্বয়হীনতা থাকলেও আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবো। তাই আমরা সমন্বয়ের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তার সবটুকুই করবো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।’

তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদের) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন