বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষের র‌্যালিতে তাপস, নৌকায় ভোট চাইলেন মন্ত্রী-এমপিরা

January 30, 2020 | 7:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্বগেট। খোলা ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চ। একে একে মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, দলের বর্ষীয়ান নেতা মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মঞ্চ কানায় কানায় পূর্ণ। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মঞ্চে আসেন ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।

বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহাগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে ফজলে নূর তাপসই মধ্যমণি-প্রধান আকর্ষণ!— মঞ্চ থেকে এমন ঘোষণাই আসছিল বার বার। এমনকি আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আমির হোসেন আমু নিজেই বললে, ‘আজকের সমাবেশে প্রধান আকর্ষণ ও মাধ্যমণি ফজলে নূর তাপস।’

ঝালকাঠি-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের জন্য ভোট চেয়ে বলেন, ‘আমরা যখন মুজিববর্ষ পালন করছি, তখন আমার স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে ১৯৭০ এর নির্বাচন। যে নির্বাচনে গণরায়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনকে পরিণত হন এবং একক নেতৃত্ব দিয়ে গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে আহ্বান জানান।’

বিজ্ঞাপন

স্মৃতি হাতড়ে আমু বলেন, ‘সেদিন তিনি (বঙ্গবন্ধু) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ওই পুরান ঢাকার খাজা পরিবারের খাজা খায়রুদ্দীনকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে। সেদিন বঙ্গবন্ধু এই ঢাকার রায় নিয়ে সারা বাংলাদেশে সংখ্যাগোরিষ্ঠতা লাভ করেছিলেন বলেই, ম্যান্ডেড আনতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিতে পেরেছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ত্রিশ লাখ মানুষ তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি। পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা যেমন একজন, তেমনি পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দ্রতু উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।’

বিজ্ঞাপন

আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন তীলোত্তমা ঢাকা। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য ঢাকায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এবং শক্তিশালী করতে হলে যেই পুরান ঢাকা একদিন বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়ে বাঙালির আশা পূরণ করেছিল, আজকে সেই পুরান ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত, বঙ্গবন্ধুর নাতি শেখ ফজলে নূর তাপসকে নৌকায় ভোট দিয়ে তীলোত্তমা ঢাকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুল করে না। সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা মনোনীত ফজলে নূর তাপসকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাঙালি জাতি ভাষা শহিদ বরকত-সালামের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।

সমাবেশে বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, ‘শেখ তাপসকে সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করতে হবে। আমরা এ বিজয়কে মুজিববর্ষে উৎসর্গ করব। এই বিজয় আমরা শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এতদিন পরিশ্রম করেছেন। আরও একটি দিন পরিশ্রম করতে হবে। আমরা খবর পেয়েছি, প্রতিপক্ষরা এক-দেড়শ অস্ত্রধারী ঢাকায় নিয়ে এসেছে। আপনাদের কেন্দ্রে থাকতে হবে, কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কেন্দ্র পাহারা দিয়ে শেখ তাপসকে বিজয়ী করে সেই বিজয় আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো।’

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নৌকা বিজয়ের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। এই নৌকা জিতবেই। নৌকার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’

মুজিববর্ষের র‌্যালিতে বেশকিছু সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি, খোলা পিকআপ ভ্যান, উচ্চ শব্দযন্ত্র, সাউন্ডবক্স মাইক ব্যবহার করা হয়। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ছিলে ফুলে ফুলে সাজানো নৌকা। র‌্যালিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, সচিবালয়ের সামনের সড়ক, জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বঙ্গভবন ও রাজউকের সামনের সড়ক হয়ে শাপলা চত্বর গিয়ে শেষ হয়।

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন