বিজ্ঞাপন

এজেন্টদের ‘সামর্থ্য অনুযায়ী’ প্রতিরোধের আহ্বান সিইসি’র

February 1, 2020 | 12:17 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কেউ বললেই এজেন্টকে বের হয়ে যেতে হবে, এমন হলে তো চলবে না। বেরিয়ে যেতে বললে প্রথমে এজেন্টকে প্রতিরোধ করতে হবে। বলতে হবে, বেরিয়ে যাব না। তারপর প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছেন, ধাপে ধাপে তাদের জানাতে হবে। শুধু মুখে মুখে অভিযোগের কথা বললে হবে না।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন। উত্তরায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে— এ বিষয়ে সিইসি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, যারা এজেন্ট, তাদেরও তো কেন্দ্রে টিকে থাকার সামর্থ্য থাকতে হবে। কেউ এসে বললো, তুমি বেরিয়ে যাও আর তিনি বেরিয়ে যাবেন, সেটা করলে তো হবে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।

বিজ্ঞাপন

প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বা মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে— সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা মানেই তো মারধর নয়। মারধর বা মারামারি করা তো যাবে না। কেউ বেরিয়ে যেতে বলতে হবে যাব না। তারপরও না থাকতে পারলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলতে হবে, তাতেও কাজ না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে হবে।

কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, আমাদের কড়া নির্দেশ রয়েছে, কোথাও অভিযোগ পেলে এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা প্রার্থী, তাদের বলব, এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে— এমন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে যাবেন। তিনি সমাধান না করতে পারলে বাইরে এসে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটকে বলবেন। তাকেও না পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবেন। সবাইকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। শুধু শুধু বললে তো হবে না। নিয়ম মেনে অভিযোগ করতে হবে। সেভাবে অভিযোগ না এলে আমরা কী করতে পারি?

অনেক কেন্দ্রেই ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। তিনি যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমাদের জানাবেন তারা। আমরা কেন্দ্র বন্ধ করে দেবো।

বিজ্ঞাপন

সার্বিকভাবে ভোটের পরিস্থিতি কেমন মনে করছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ভোটার উপস্থিতি আরও একটু বাড়লে ভোলো হতো। তবে এখন ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছি। সার্বিক পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন