বিজ্ঞাপন

‘দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে’

February 3, 2020 | 8:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু সংসদে জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী, দেশে স্বাদু পানির ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে। এর মধ্যে ৯টি অতি বিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫টি শঙ্কাগ্রস্ত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত কাপ্তাই লেকে প্রায় ১৩ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। অবাধ প্রজনন ও বিলুপ্তির পথে মাছ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশস কাপ্তাই লেকে ৭টি অভয়াশ্রম ও ৬টি ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ আছে। ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টারের মাধ্যমে করপোরেশন অভয়াশ্রমগুলোর পাহারা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে কাপ্তাই লেকে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতি রক্ষার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরকারি দলের আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৪৩২টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম এবং এ চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম। এ হিসেবে দেশে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এ সময়ে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।

সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, মৎস্যজীবীদের কল্যাণে ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দসহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন