বিজ্ঞাপন

বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত দেড় লাখ মানুষ, মৃতের সংখ্যাও লক্ষাধিক

February 7, 2020 | 9:34 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। প্রতি বছর দেশে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া ক্যানসারে বছরে মারা যাচ্ছেন প্রায় লক্ষাধিক রোগী।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘ক্যানসার প্রতিরোধে দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’ একথা জানান বিশেষজ্ঞরা। সম্মেলনের আয়োজন করে ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য ডা. ফরিদুল আলম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গবেষণা মতে, আমাদের দেশে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, গড়ে লক্ষাধিক মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছেন। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন করতে হবে।’

ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোরভী মিশ্রা বলেন, ‘আফ্রিকার দেশগুলোতে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু আমাদের অঞ্চলে এখন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তবে এখনই আমাদের ক্যানসার বিষয়ে সচেতন করতে হবে, তথ্যকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে সবাই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সেগুলো মেনে চলে।’

বিজ্ঞাপন

ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মাসুদুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান ক্যানসার সচেতনতা, স্ক্রিনিং এবং ক্যানসার রোগীর ও তার পরিবারের পুনর্বাসনে কাজ করে আসছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে আমাদের সচেতনার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে স্তন ও জরায়ু ক্যানসার সচেতনতায় বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, যা যথেষ্ঠ উৎসাহ দেবে।’

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “ক্যানসার রোগীর সংখ্যা কমাতে এখনই প্রয়োজন সবার মধ্যে ‘তথ্য ও বার্তা’ পৌঁছে দেওয়া। চিকিৎসকের কাছে তথ্য থাকে এটাকে বার্তায় রূপান্তর করে সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে পারলে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতে পারবো।” যদি এমনটি না করা যায় তবে অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যানসার বিশেজ্ঞরা।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য ক্যানসার চিকিৎসক ডা. এম এ হাই। এতে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্যানসার বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. সারোয়ার আলম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের নন কম্যুনিকেবল ডিজিসেস বিভাগের প্রধান ডা. মিথিলা ফারুকী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক, ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুল হকসহ অন্যান্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন