বিজ্ঞাপন

‘সক্ষমতার অভাবে বিআরআইয়ে কোনো প্রকল্প চালু করতে পারেনি বাংলাদেশ’

February 10, 2020 | 8:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) উদ্যোগে গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশ পাড়ি দিয়ে উন্নত বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বিআরআই উদ্যোগে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন সরকারের নীতি নির্ধারক এবং অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে নিজেদের সক্ষমতার অভাবে বাংলাদেশ এখনো বিআরআই উদ্যোগের আওতায় কোনো প্রকল্প চালু করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

‘ইমপ্লিকেশন অব দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফর দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। কর্মশালাটি সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস-বিস) অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, বিআরআইতে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে সম্মতি দিয়েছ। শুধু বিআরআই নয়, যেকোনো অর্থনৈতিক কার্যক্রম, তা দেশের বা বিদেশের যাদেরই উদ্যোগ হোক, বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে হলেই আমরা সেখানে যুক্ত হব।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে গড় প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশে উন্নীত করতে হলে প্রচুর অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উন্নয়নসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রচুর সম্পদের প্রয়োজন। তাই এই খাতগুলো উন্নয়নে বিআরআই বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। আমরা এখন যে অবকাঠামো গড়ে তুলছি, তা বিআরআই উদ্যোগের পরিপূরক হবে।

বিজ্ঞাপন

বিআরআই উদ্যোগে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কয়টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছে— জানতে চাইলে ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা এখনো বিআরআই উদ্যোগে ওইভাবে প্রকল্প চিহ্নিত করিনি। বিআরআই উদ্যোগের যে মূলকথা— অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে হবে, আমরা সেভাবে প্রকল্প প্রস্তুত করছি। আমরা দেখেছি যে আন্তর্দেশীয় যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় বিআরআই উদ্যোগের মোট মূলধনের ১৯ শতাংশ প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধ পাঠে বিসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে উত্তীর্ণ হতে বিআরআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিনিয়োগ খাতে চীনের কমিটমেন্ট অনেক, কিন্তু অর্থছাড়ের পরিমাণ খুবই কম। এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, বিআরআইয়ের আওতায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন কাজের সংস্থান হবে। একটি ভালো উদ্যোগ, তবে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং রোহিঙ্গা সংকট বিআরআই বাস্তবায়নে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ বলেন, বিআরআই উদ্যোগের আওতায় আমরা এখনো কোনো প্রকল্প চালু করতে পারিনি, এটা আমাদের সক্ষমতার অভাব। আমাদের চারদিকে ভারত, মিয়ানমার ও বঙ্গোপসাগরের উপস্থিতি। এরই মধ্যে ভারত-মিয়ানমার এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে। তাই এই উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বার্থ বের করে নিয়ে আসতে কৌশলী হতে হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন