বিজ্ঞাপন

৫ বছর আগের প্লাস্টিক শিল্প প্রকল্পের খরচ বেড়ে ৩ গুণ

February 10, 2020 | 11:10 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র কারখানাগুলোর ৮০ শতাংশই পুরান ঢাকা ঘিরে। এর মধ্যে প্লাস্টিক অন্যতম। কারখানাগুলো গড়েও উঠেছে অপরিকল্পিত, অপরিসর ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। একইসঙ্গে ঝুঁকিতে আছে ওই এলাকার জনজীবন। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কারখানাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার পরিকল্পনায় শিল্পনগরী গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। শিল্পনগরীটি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্ত্তা মৌজায় স্থাপন করা হবে। তবে পাঁচ বছর আগের এই প্রকল্পটির খরচ বাড়ছে, তা এখন মূল প্রকল্পের প্রস্তাবনার চেয়ে দাঁড়াচ্ছে তিন গুণে।

বিজ্ঞাপন

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি, যার খরচ ধরা হয় ১৩৩ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। পরে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত না হলে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত।

সম্প্রতি নতুন করে বড় অঙ্কের ব্যয় বাড়ছে বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পটির। মূল ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় বাড়ছে এবার। ১৩৩ কোটি টাকার প্রকল্পের খরচ ২৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেড়ে এখন দাঁড়াচ্ছে ৩৯৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর প্রকল্পের মেয়াদ প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রস্তাবিত শিল্পনগরীতে ৩৬০টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিল্প প্লট স্থাপিত হবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ প্লট নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। ৩৬০টি শিল্প প্লটে কমবেশি ২৫০টি প্লাস্টিক শিল্প ইউনিট স্থাপিত হবে এবং এ ইউনিটগুলোতে অনেক কর্মসংস্থান হবে, যা দারিদ্র্য কমাতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় নতুন সুপারিশসহ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নতুন সংশোধনীতে অনুমোদন দিলে এটি নতুন করে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটি দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ করা জমির খাস অংশে অবৈধভাবে বসবাসরতদের স্থানান্তর বিষয়ে জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়। পরে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন নির্ধারণ করে। বর্তমানে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের মোট ব্যয় ও মেয়াদ বাড়িয়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে— ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, অফিস ভবন নির্মাণ, শিল্পনগরীর সীমানা প্রাচীর, মেইন গেট ও অন্যান্য গেট স্থাপন, রিটেইনিং, প্রটেকশন ওয়াল, পাম্প ড্রাইভার কোয়ার্টার, পানির পাইপ লাইন, রাস্তা নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, কালভার্ট, বক্স কালভার্ট, বিদ্যুৎ লাইন ও ট্রান্সফরমার, সোলার প্যানেল এবং ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন