বিজ্ঞাপন

আইআইইউসিতে বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা

February 11, 2020 | 11:40 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জামায়াত ইসলামীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় দুই জামায়াত নেতা এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী চার শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে অতিরিক্ত পিপি ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম ও আহসান উল্লাহ এবং চার শিক্ষক মাহবুব রহমান, কাউছার আহমেদ, মোহাম্মদ শফিউল আলম ও নিজাম উদ্দিন। এদের মধ্যে মাহবুব ও কাউছার জামায়াতের রোকন। বাকি দুজনও জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।

বাদি কামাল উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারেরা। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখি, আসামিরা সশস্ত্র ক্যাডার পরিবেষ্টিত হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আমি তাদের ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়। আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে আমি থানায় মামলা করেছি।’

বিজ্ঞাপন

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা সারাবাংলাকে জানান, মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮ ধারার পাশাপাশি ১২৪ (ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের ব্যানারে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও মারামারির পর গত ২৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ১০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন