February 16, 2020 | 8:03 pm
ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে। বাংলাদেশে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রভাব-প্রতিপত্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাবিতে মুক্ত আলোচনায় এমনটাই জানিয়েছেন বক্তারা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এই আলোচনার আয়োজন করে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশত শিক্ষার্থী।
বক্তব্যে রুশাদ ফরিদী বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন করতে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এখন আমাদের বড় দাবি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল নয় বরং কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে পরিচালিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একের পর এক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাই কি আমরা সব মেনে নেব? আমাদের এখন জানতে চাইতে হবে যে কিসের ভিত্তিতে আপনারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যেতে চাচ্ছেন? তার মানদণ্ড উপস্থাপন করে মুক্ত আলোচনা করুন। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে কি না তা নির্ধারণ করবে এটা তো ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, যারা এটা নিয়ে প্রস্তাব করছেন- এ ব্যাপারে তাদের কোনো চিন্তাধারা নাই অথবা অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এসব প্রতিষ্ঠানে আছেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং প্রভুদের খুশি করতে তারা এসব অযৌক্তিক নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, আলোচনা সভা আমাদের জন্য আরও ভালো হতো যদি ইউজিসি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন করবে সেটা আগে পরিষ্কার করত। কিন্তু এ বিষয়ে ইউজিসি কিছুই পরিষ্কার করেনি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ভোগান্তি কমানোর জন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিলে ভবিষ্যতে তা আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করার আশঙ্কা থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/এনএইচ