বিজ্ঞাপন

‘গণতন্ত্রহীন অবস্থায় চলছে বাংলাদেশ’

February 21, 2020 | 12:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশ ‘গণতন্ত্রহীন অবস্থায়’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজ এই মহান দিবসে, যেদিন আমাদের সমস্ত জাতি এই দিবসকে স্মরণ করছে, তখন আমরা এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই্। আজকে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং আইনের শাসন নেই। এখানে কোনো ন্যায় বিচার নেই।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্য আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি যে এ দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।’

বিজ্ঞাপন

কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যিনি মাতা, যিনি দীর্ঘকাল সারাজীবনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, সেই দেশনেত্রীকে আজ অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যে জামিন তার ন্যূনতম প্রাপ্য, সেই জামিনও তাকে দেওয়া হচ্ছে না।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, এই ভাষা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, স্বাধীন একটি ভূখণ্ড তৈরি হয়েছে, আমরা একটি পতাকা পেয়েছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে চেতনাকে ভিত্তি করে সেদিন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনা আজ ৬৮ বছর পরেও বর্তমান দখলদার সরকার, যারা জনগণের সব অধিকার হরণ করে, ভোটের যে অধিকার তাকে হরণ করে, তাদের বেঁচে থাকার যে অধিকার তাকে হরণ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তারা তৈরি করার জন্য সব ধরনের অপকৌশল করছে।

সকাল সাড়ে ৬টায় বলাকা সিনেমা হলের কাছে সমবেত হয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহিদদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শামীমুর রহমান শামীম, সেলিম রেজা হাবিব, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনর অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, জাসাসের সালাউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, শায়রুল কবির খান, জাকির হোসেন রোকন ও সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমানসহ বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন

সারাবা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন