December 8, 2017 | 8:37 pm
সারাবাংলা প্রতিবেদক
ঝড় আসার আগে একটা আভাস দিয়ে আসে। এবারের বিপিএলে এর আগের নয় ম্যাচে ক্রিস গেইলের সর্বোচ্চ স্কোর ৫২। একটা যে ঝড় আসছে এ থেকেই কিছুটা অনুমান করা যায়। গেইলের ঝড়টা যেদিন আসে সেদিন আসলে প্রতিপক্ষেরও কিছু করার থাকে না। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সেটাই স্বীকার করে নিলেন।
গেইলকে শুরুতে আউট করতে না পারার কারণেই যে ম্যাচটা হারতে হয়েছে, মলিন মুখে সেই সত্যি স্বীকার করে নিলেন খুলনা অধিনায়ক। জানালেন, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল গেইলকে জায়গা না দেওয়ার।
আগের দুইবারও খুলনার সাথে ভালোই শুরু করেছিলেন গেইল। প্রথমবার ১৬ রান করার পর আউট হয়ে গিয়েছিলেন রাহীর বলে। আর পরের বার ৩৮ রানেই তাকে থামিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইরফান। মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ‘আজও শুরু থেকেই গেইলকে জায়গা না দেওয়ারই পরিকল্পনা ছিল, স্পেশাল প্ল্যান ঠিক না। যেটা ছিল ওকে জায়গা না দেওয়া। জায়গা দিলে ওর জন্য অনেক সহজ কাজটা। ট্যাকটিক্যালি চিন্তা করলে স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা, এ ছাড়া কোনো অপশন নেই। পেস মিক্স আপ করা। স্পিনাররাও ওভাবে পারেনি। আমি শুরুটা করলাম, কিন্তু ভালো হয়নি।’
তার আগে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকই করছিল খুলনা। এই উইকেটে ১৬৭ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট, সেটা তো মাহমুদউল্লাহ নিজেই জানিয়েছেন। কিন্তু গেইল যেদিন এমন ঝড় তোলেন, বোলারদের জন্য কাজটা হয়ে যায় অনেক কঠিন। মাহমুদউল্লাহ তা মেনে নিলেন, ‘আমি শুধু একটা জিনিসই বলছিলাম, গেইলের উইকেট পেলে আমাদের একটা সুযোগ ছিল। আগেই যেটা বলছিলাম ওর পাওয়ার এবং ক্যাপাসিটি সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা ছিল। উইকেটও ভালো ছিল। বাট ক্রেডিট ওদের। গেইলের যেদিন ঝড় শুরু হয় সেদিন ওকে থামানো মুশকিল। এটার প্রমাণ আজকেও আমরা পেলাম।’
কিন্তু গেইল করলে নিজেদের কি একটু দুর্ভাগা মনে হয় না? মাহমুদউল্লাহ সেটি মানতে চাইলেন না, ‘আনলাকি বলব না। আমরা জানি ও বড় মাপের খেলোয়াড়। সেট হয়ে গেলে ও কতটা ডেঞ্জারাস। সেট হয়ে গেলে ওর মতো খেলোয়াড়কে থামানো খুব টাফ।’
নিজেদের ব্যর্থতার কথাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘সত্যি বলতে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে ও। তবে আমার মনে হয় আমরা খুব একটা ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি। আমরা সবাই জানি ওর পাওয়ার এবং ক্যাপাবিলিটি সম্পর্কে। এই কারণে ওরা একটা ফ্লায়িং স্টার্ট পেয়েছে।’
যত যা-ই বলুন, গেইল এমন কিছু করলে তো করার আসলেই কিছু থাকে না!
সারাবাংলা/ওএম/জেএইচ/৮ ডিসেম্বর