বিজ্ঞাপন

চেরি টমেটোর নতুন জাত ‘গোল্ডেন পূর্ণা’, ফলন হবে দ্বিগুণ

February 25, 2020 | 10:20 am

শাহেদ মাহমুদ, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত হয়েছে চেরি টমেটোর নতুন জাত। ‘গোল্ডেন পূর্ণা’ নামে চেরি টমেটোর এই জাতের উদ্ভাবক শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক গবেষক ড. আবুল ফায়েজ মো. জামাল উদ্দিন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই জাতের চাষে ফলন হবে সাধারণ টমেটোর দ্বিগুণ।

বিজ্ঞাপন

জাতটির উদ্ভাবন বিষয়ে অধ্যাপক ড. এ এফ এম জামাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, “আমি প্রধানত কাজ করি মলিকিউলার বায়োলজি নিয়ে। উচ্চফলনের জন্য জাপান থেকে চেরি টমেটোর একটি ভ্যারাইটি ২০০৭ সালে নিয়ে আসি। তখন থেকেই মূলত আমাদের গবেষণা শুরু এ নিয়ে। টমেটোর উচ্চফলনশীল জাপানিজ ভ্যারাইটির চেরি টমেটোকে বাংলাদেশে চাষের উপযোগী করতে পেরেছি, যা গোল্ডেন পূর্ণা (SAU Cherry Tomato) নামে।”


‘গোল্ডেন পূর্ণা’ নামের বিষয়ে এই গবেষক জানান, এই জাতের টমেটোগুলো হয় ছোট ছোট, আর এর রঙ হলুদ থেকে সোনালী। এই রঙ থেকেই মূলত নাম দেওয়া হয়েছে গোল্ডেন পূর্ণা। এই টমেটো চেরির অনেকগুলো জাতের মাঝে একটি। এর বিশেষ গুণ হচ্ছে মিষ্টতা, যা সাধারণ টমেটোর থেকে কয়েকগুণ। তাছাড়া ডিশ ডেকোরেশনের জন্য ব্যবহারযোগ্য বলেও জানান তিনি।

ধীরে ধীরে এই জাতটি বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মানিয়ে নিয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জাপানিজ ফসলটি নিয়ে ২০০৭ সালে এনে প্রথম গবেষণা শুরু করি। সেখানে থেকে উৎপাদিত ফসলের সবচেয়ে ভালোগুলো থেকে বীজ নিয়ে পরবর্তীতে চাষ করি। এভাবে বেছে নেয়াকে বলে পজিটিভ সিলেকশন। আমরা প্রধানত এই কাজটিই করেছি, যাতে বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে এটি সহজে মানিয়ে নিতে পারে।’

বিজ্ঞাপন


‘গোল্ডেন পূর্ণা’ রোপণের ৩০ দিন পর থেকেই ফল দেবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এর গাছে প্রতি সাতদিন পরপর ফুল আসবে ও ফল ধরবে। একই গাছ থেকে সর্বোচ্চ ৭ কেজি ফলন পাওয়া যাবে। যা শুধু সাধারণ টমেটো নয়, যেকোনো চেরি টমেটো থেকে বেশি।’

সাধারণ চেরি টমেটোর ক্ষেত্রে গাছ প্রতি ৩ থেকে ৩.৫ কেজি ফলন হয়। যেখানে গোল্ডেন পূর্ণা দেবে গাছ প্রতি ৬-৭ কেজি। এভাবে ছয়মাস ফল পাওয়া যাবে। আর দেশে চাষ করা টমেটোর চেয়ে হেক্টর প্রতি দ্বিগুণ ফলন মিলবে। প্রতি হেক্টর জমিতে এই জাতের চাষ করে ১৬০ থেকে ১৭০ টন চেরি টমেটো পাওয়া যাবে বলেও জানান এই অধ্যাপক।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘গোল্ডেন পূর্ণা ওপি (ওপেন পলিনেশন) ভ্যারাইটি। এর ফসল থেকে বীজ ব্যবহার করা যায়। এতে নতুনভাবে বীজ নিয়ে চাষ করার খরচও কমবে। পাশাপাশি গোল্ডেন পূর্ণা একটি সম্পূর্ণ রোগপ্রতিরোধী জাত। তাই কোনো ধরণের কীটনাশক ব্যাবহার ছাড়ায় এটি চাষ করা যাবে।’ ‘গোল্ডেন পূর্ণা’ দেশের কৃষির আধুনিকায়নে একটি নতুন অধ্যায় হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন