বিজ্ঞাপন

মৃত সঙ্গীর পরিবারকে ভোলেননি এই গ্রেট

February 25, 2018 | 8:04 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

চতুর্থবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। নিউজিল্যান্ডের মাঠে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতা দলটিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

ঘোষণায় বলা হয়, বিশ্বকাপ জয়ী দলের সব ক্রিকেটারকে ৩০ লাখ ভারতীয় রূপি দেওয়া হবে। দলের কোচ ৪৫ বছর বয়সী দ্রাবিড়কে দেওয়া হবে ৫০ লাখ রূপি। আর দলের বাকি কোচিং স্টাফের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ২০ লাখ রূপি করে।

তাতে অবাক হয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি এবং শিরোপা জয়ী দলটির কোচ দ্রাবিড়। এমন আর্থিক পুরস্কার তিনি চাননি বলে বোর্ডকে জানিয়েও দেন।

বিজ্ঞাপন

সে সময় দ্রাবিড় জানান, ‘এই বিশ্বকাপটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা সবাই মিলেই এটা দেশে নিয়ে এসেছি। পুরো কোচিং স্টাফ ছিল দুর্দান্ত। আমি একাই নই, পুরো কোচিং স্টাফ দেশের মানুষের কাছে অভিনন্দন পাওয়ার দাবীদার। তাই আমাকে এতো বেশি আর্থিক পুরস্কার দিয়ে তাদের অপমান করা হচ্ছে। আমি সত্যিই বলছি এমন কিছু আমি একদমই চাইনি। আর্থিক পুরস্কারের জন্য আমরা খেলিনি। যদি ঘোষণাটা এমনই হয় তাহলে সেটা বাজে দেখাবে। কোচিং স্টাফদের সকলকে একই চোখে দেখা জরুরি। আমার সঙ্গে ওরা দারুণভাবে কাজ করেছে। ছেলেদের জন্য তারা তাদের সেরাটা দিয়েছে।’

দ্রাবিড়ের এমন মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছুটা লজ্জাই পেয়েছিল। বোর্ডের এক মুখপাত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে যে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তাতে দ্রাবিড় খুশি হননি। বোর্ডকে তিনি সেটা জানিয়েও দিয়েছিলেন। দ্রাবিড়ের এমন সিদ্ধান্তে বোর্ডের অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দ্রাবিড় ছাড়া কোচিং স্টাফের বাকিদের আরও ৫ লাখ রূপি করে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অন্যদের মতো দ্রাবিড়কেও ২৫ লাখ রূপি দেওয়া হবে।’

তারপরও যে ২৫ লাখ বাকি থাকে আর কেনই বা কাজ হলো না? ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, অবশেষে আর্থিক পুরস্কারের টাকা তুলেছেন দ্রাবিড়। পুরো টাকা নেননি। কোচিং স্টাফের বাকিরা যে ২৫ লাখ রূপি করে পেয়েছেন সেই ২৫ লাখই নিয়েছেন দ্রাবিড়। বাকি ২৫ লাখ রূপি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন গত বছর মারা যাওয়া ট্রেইনার রাজেশ সাওয়ান্তের পরিবারকে। মারা যাওয়ার আগের দিনও যিনি দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। ভারতীয় বোর্ড দ্রাবিড়ের এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের জানুয়ারিতে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ভারতীয় যুব এবং ‘এ’ দলের ফিজিক্যাল ট্রেইনার রাজেশ সাওয়ান্ত মু্ম্বাইয়ে টিম হোটেলে ঘুমের মাঝেই মৃত্যুবরণ করেন। অনুশীলনে রাজেশকে দেখতে না পাওয়ার পর স্কোয়াডের এক সদস্য হোটেলে খুঁজতে যান তাকে। সেখানেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রঞ্জিজয়ী গুজরাটের বিরুদ্ধে ইরানিতে অবশিষ্ট ভারতীয় দলের ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করেছিলেন রাজেশ। লালচাঁদ রাজপুত যখন আফগানিস্তানের জাতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন, সেই দলের ফিজিক্যাল ট্রেইনার ছিলেন রাজেশ। এছাড়া, মুম্বাই ক্রিকেটে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন ৪৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই ট্রেইনার।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন