বিজ্ঞাপন

সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরও এক বাংলাদেশি সুস্থ

February 29, 2020 | 10:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, সিঙ্গাপুরে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও একজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বাকি দুই জনও সুস্থ হওয়ার পথে। তবে, একজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আইইডিসিআর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

অধ্যাপক ডা.মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজন বাংলাদেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আগের দিন আরও একজন বাসায় ফিরেছিলেন। আশঙ্কাজনক একজন রোগীর অবস্থার কোন উন্নতি হয় নি। বাকিদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তারাও যে কোনো সময় ছাড়া পাবেন হাসপাতাল থেকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনসহ এখন পর্যন্ত মোট ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা স্ক্রিনিং কার্যক্রমটা একইভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, স্থানীয় বা লোকাল ট্রান্সমিশন এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২৩টি দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখানে প্রতিটি দেশে ১ জন করে কোভিড-১৯ রোগী আছে যাদের আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ বা আক্রান্ত দেশ থেকে কারো সঙ্গে যোগাযোগ এর প্রমাণ নেই।

এই বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ভাবিয়ে তুলেছে জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত দেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সভা সমাবেশ না করার পরামর্শও দেন।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো প্রকল্পের জন্য যদি আসার থাকে, সেটাও আমরা নিরুৎসাহিত করছি। সভা-সমাবেশ বা মিটিংয়ে যদি আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো প্রতিনিধি আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই সভা-সেমিনারগুলো স্থগিত করে পরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছি আমরা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী আসবে না তা ভেবে বসে থাকা যাবে না। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক, ইতালি এসব দেশে তথ্য বিশ্লেষণ করছি এবং পর্যবেক্ষণ করছি। এই সমস্ত দেশের দূতাবাস, এবং বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করছি।

প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ানো সাত ধরণের করোনা ভাইরাসের তিনটি ক্ষতিকারক। আর বাকি চারটি ধরণ মূলত সাধারণ সর্দি জ্বর যার জন্য আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠানটি।

লোকাল ট্রান্সমিশন এড়াতে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তারা যাতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারে সেজন্য প্রয়োজনে তাদেরকে বাসায় দাপ্তরিক কাজ করার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে আইইডিসিআর।

এক্ষেত্রে কারও কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলেন অধ্যাপক ফ্লোরা।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্করা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আর ৭৫ ভাগেরই আগে থেকেই অন্য কোনো রোগ ছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা মীরজাদি ফ্লোরা জানান, চীনসহ বর্তমানে ৫২টি দেশ ও অঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। নতুন দেশগুলো হল— বেলারুশ, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও নাইজেরিয়া।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এই ঘোষণা দেন।

সারাবাংলা/এসবি/এইচএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন