বিজ্ঞাপন

জামুকার প্রতি ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী মুক্তিযোদ্ধারা

March 1, 2020 | 4:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) উদাসীনতায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ১৫ দফা দাবিতে রোববার থেকে (১ মার্চ) তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং বিদ্যমান তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, জয়বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ধ্বনির স্বীকৃতি, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ ১৫ দফা দাবি।

বিজ্ঞাপন

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধারা।

আন্দোলনের বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. রুস্তম আলী মোল্লা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি চূড়ান্ত তালিকা চাই।’

জামুকার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে রুস্তম আলী মোল্লা বলেন, ‘জামুকা হলো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা। মুক্তিযোদ্ধা বানাতে তারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। তারপর সবাইকে জামুকায় সাক্ষাৎকার নেয়। এরপর তারা একজন আসল মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে আরও দুই-তিনজন করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেয়। তাদের মাধ্যমে ভুয়া সার্টিফিকেট পায় আর সঠিক মুক্তিযোদ্ধারা হয়রানির শিকার হয়।’

বিজ্ঞাপন

এই মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ‘জামুকার মহাপরিচালক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। জামুকায় আরও কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসহযোগিতা করছেন। সেখান থেকে তাদের সরাতে হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা তৌছিফুল বারী খান বলেন, ‘জামুকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করছে। এ পর্যন্ত ১১ বার মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই। মৃত্যুর আগে স্বীকৃতি দেখে যেতে চাই, মরার পর আমরা পাকা কবর দেখতে চাই না। সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিলে মৃত্যুর পর আমাদের গার্ড অব অনার দরকার নেই।’

একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল আহ‌মেদসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন