বিজ্ঞাপন

গাঙ্গুলীর মধ্যরাতের অ্যাডভেঞ্চার, মোশারফের ফোন

February 26, 2018 | 2:19 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক পুরোপুরি সাপে-নেউলে। ২০০৪ সালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্ব পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই সফরের মাঝে এক মধ্যরাতে গাঙ্গুলীকে ফোন করেছিলেন তত্কালীন পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ।

কিন্তু, কেন ফোন করেছিলেন তখনকার পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’র আত্মজীবনী ‘আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ’ বইটিতে। খবরটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম। গাঙ্গুলীর সেই লেখাগুলোর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

আত্মজীবনীতে গাঙ্গুলী লিখেছেন, ‘সিকিউরিটি অফিসারকে না জানিয়ে মাঝরাতে বন্ধুরা মিলে হোটেল থেকে বের হয়ে যাই। উদ্দেশ্যে ছিল পাকিস্তানের গলমান্ডির বিখ্যাত ফুড স্ট্রিটে কাবাব ও তন্দুরি চিকেন খাওয়া। শুধু টিম ম্যানেজার রত্নাকর শেঠিকে বলে গিয়েছিলাম। কারণ, আমি নিশ্চিত ছিলাম, সিকিউরিটি অফিসারকে বললে আমাকে যেতে দেবে না। নিয়ম ভাঙছি জেনেই মুখ ঢেকে, টুপি পরে আমি হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। কিন্তু ভয় ছিল যদি কেউ চিনে ফেলে। আর হলোও তাই। একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি সৌরভ না? আমি চাপাস্বরে না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাই।’

বিজ্ঞাপন

গাঙ্গুলী তার বইতে আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু ফুড স্ট্রিটের ডিনার টেবিলে আমাকে চিনে ফেলেন সিরিজ কাভার করতে আসা এক ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি উত্তেজনার বশে নাম ধরে জোরে ডাকতেই শোরগোল পড়ে যায়। চারিদিক থেকে লোক জড়ো হয়ে আমাকে ঘিরে ফেলে। বিল মিটিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে গেলে হোটেলের ম্যানেজার বিল নিতে অস্বীকার করেন। আমার মনে আছে তিনি বলেছিলেন, আপনার মতো আগ্রাসী মানসিকতার একজনকে চাই যিনি পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেবেন।’

‘ফুড স্ট্রিট থেকে মধ্যরাতে গাড়িতে করে হোটেলে ফেরার পথে আরও বড় বিপত্তি ঘটে। আমাদের গাড়ির পিছনে সারি সারি বাইক আর তাদের চিৎকার। শেষ পর্যন্ত নিরাপদে টিম হোটেলে ফিরে আসি। কিন্তু খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট মোশারফের কাছে। রাতেই তিনি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, পরেরবার কোথাও টিম হোটেল থেকে বের হলে যেন নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়ে যাই। পাকিস্তানের অনিরাপদ পরিবেশে মধ্যরাতের অ্যাডভেঞ্চার যেন না করি।’ যোগ করেন গাঙ্গুলী।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন