বিজ্ঞাপন

মোদির বাংলাদেশে আসা কতটুকু শোভনীয়— প্রশ্ন ফখরুলের

March 2, 2020 | 9:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন মুজিববর্ষের উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন পাশের দেশ থেকে— ভালো কথা। কিন্তু যখন আসছেন, তখন দিল্লিতে নিকৃষ্টতম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছে, এই দাঙ্গার সঙ্গে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জড়িত। এ রকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে মোদির বাংলাদেশে আসাটা কতটুকু শোভনীয়— সে বিষয়ে চিন্তা করা দরকার।’

রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ২ মার্চ আ স ম আবদুর রবকে কেন সম্মান জানানো হচ্ছে না— তা নিয়ে অনেকে আক্ষেপ করেছেন। কেন এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে না— এটি যৌক্তিক প্রশ্ন। এই দিবস পালন তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু এখন যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের সঙ্গে স্বাধীনতার সম্পর্ক কতটুকু— সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা, যুদ্ধের পরে মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল এবং বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মানুষ যে জন্য যুদ্ধ করেছিল, সেই লক্ষ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ধূলিসাৎ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারা প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা শুধু  আ স ম আবদুর রবকে ভুলে যাচ্ছে না, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অবদান রেখেছিলেন তাদেরকেও ভুলে যাচ্ছে। কারও অবদান তারা স্বীকার করে না।’

‘২৬ মার্চ যখন দেশ দিশাহারা হয়ে পড়েছিল, তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তার অবদানও তারা স্বীকার করে না। তারা মনে করে না এম এ জি ওসমানীকে। মনে করে না মওলানা ভাসানীকে। তারা কখনোই স্বীকার করতে চায় না, এই স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে দেশের সব মানুষ জড়িয়ে ছিল,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আজকের সরকার আমাদের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা একে একে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে। খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে আজকে বেআইনিভাবে, অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। চরম অসুস্থ অবস্থায় থাকলেও তাকে চিকিৎসা সুযোগ দিচ্ছে না। তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সে অধিকারটুকু তাকে দেওয়া হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ‘এই দেশকে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। আসুন আজ আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, গণতন্ত্রকে ভালোবাসি, তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করি।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন