ব্যয় বাড়ছে হজযাত্রায়, লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জেটফুয়েল ও ডলারের দাম বাড়াতে এবার  হজযাত্রীদের ব্যয় বাড়ছে ১৪ হাজার টাকা। এ বছর বিমান ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা। গত বছর যা ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের  এসব তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সভায় জাতীয় হজ ও ওমরা নীতিমালা এবং হজ প্যাকেজ ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘এবার হজ যাত্রীরা দুই ধরনের প্যাকেজের আওতায় সরকারিভাবে হজে যেতে পাবরেন। সরকারিভাবে প্যাকেজ-ওয়ান এর আওতায় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। আর প্যাকেজ-টু এর আওতায় ব্যয় হবে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা।’

সচিব বলেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ পালন করা হবে, তবে ২১ আগস্ট সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ধরা হচ্ছে। হজযাত্রীদের অবশ্যই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) লাগবে। আগ্রহী হজযাত্রীদের অনলাইনে প্রাকনিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। প্রতি  ৪৫ জন হাজীর টিমে একজন করে গাইড থাকবে। কোনো কারণে নিবন্ধিত কেউ হজে যেতে না পারলে প্রাকনিবন্ধন করা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ শতকরা চার জনকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ পাবে এজেন্সিগুলো। কোনোভাবেই এর বেশি হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ পাবে না তারা। আগামী ১০ শাওয়াল (২৫ জুন) তারিখের মধ্যেই হজে গমনেচ্ছুদের অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ করতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ বছর প্রত্যেক হজযাত্রী নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনের জন্য ট্রলিব্যাগ নিজেরাই কিনবেন। আগে এজেন্সিগুলো ট্রলি কিনে দিত। কিন্তু এক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন হজযাত্রীরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী ট্রলি কিনতে পারবেন। প্রতি এজেন্সি সর্বনিম্ন ১৫০ জন ও সর্বোচ্চ ৩০০ জনকে হজের জন্য নিয়ে যেতে পারবে। প্রতিটি ফ্লাইটে তিন জন মুয়াল্লেম ও তিনটি এজেন্সির হজযাত্রীরা যেতে পারবেন।  প্রত্যেক হজযাত্রী তার কোরবানির পশু কেনার জন্য ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)-এর কুপন কিনতে পারবেন। এ বছরের নীতিমালা অনুযায়ী, হজযাত্রীদের বাসস্থান মক্কা থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি হলে এজেন্সিকেই গাড়ি দিতে হবে। এ ছাড়াও নীতিমালায় ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যারা হজ করেছেন এবং যারা হজে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা আবার যেতে চাইলে অতিরিক্ত ২১ শ’ রিয়াল দিতে হবে।’

সচিব বলেন, ‘বেসরকারিভাবে হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের কাজ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা নিতে পারবেন, তার কোনো সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। তবে সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারিভাবে হজযাত্রীদের কাজ থেকে প্যাকেজ-টু এর চেয়ে কম টাকা নিতে পারবে না।’

সারাবাংলা/জিএস/আরএফ/আইজেকে