বিজ্ঞাপন

নিষ্প্রাণ মিরপুরে মোহামেডানকে দাঁড়াতেই দিল না আবাহনী

February 26, 2018 | 6:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বলতে গেলে প্রায় কাকপক্ষীও নেই গ্যালারিতে। গ্র্যান্ড স্টান্ডে আবাহনীর একটা ব্যানার লম্বা হয়ে ঝুলছে নিঃসঙ্গ, মনে হচ্ছে উৎসব শেষে বিষণ্ণ একটা পোড়োবাড়ি। অথচ মাঠে খেলছে আবাহনী-মোহামেডান। নিষ্প্রাণ গ্যালারির মতো ম্যাচটাও হলো একঘেয়ে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ১১২ রানে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ষষ্ঠ জয় পেয়েছে আবাহনী।

ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য এমন আভাস দেয়নি। মিরপুরের উইকেটে এমন কোনো জুজু ছিল না। বল একটু ধীরে ব্যাটে আসলেও ব্যাটসম্যানদের তাতে খুব ভুগতে হচ্ছে বলেও মনে হচ্ছিল না। আবাহনীর শুরুটা অবশ্য একটু স্লথই ছিল, ৫০ রান ছুঁতেই খেলতে হয়েছিল ১২.৪ ওভার। ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয় আজও ছিলেন বড় স্কোরের পথে, শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৬৩ রান করে ফিরে গেছেন।

১০৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর একটু সচল হয় রানের চাকা। মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন মিলে দ্রুতই তুলে ফেলেছিলেন ৬৪ রান। তবে ৪৫ বলে ৪৭ রান করে মিঠুনের আউটের পর আরেকটা ছোটখাট ধাক্কা খায় আবাহনী।

বিজ্ঞাপন

এরপর মোসাদ্দেক ও মিরাজ ফিরে যায় দ্রুত, ২০৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। তখনও ৬ ওভার বাকি, রান ২৫০ হওয়াটাই ছিল কঠিন। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা ক্রিজে এসেই বদলে দিলেন দৃশ্যপট। কাজী অনীক ও শুভাশীষের বলে বিশাল দুই ছয় মেরেছেন, অন্যদিকে নাসির হোসেনও যোগ দেন তার সঙ্গে। ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হয়েছেন মাশরাফি, ৭৩ বলে ৬৭ রান করে সর্বোচ্চ স্কোর নাসিরের। তাতেই শেষ পর্যন্ত ২৫৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে আবাহনী, মোহাম্মদ আজিম ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

এই রান তাড়া করে শুরুতেই জনি তালুকদার ও শামসুর রহমানকে হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। তবে রনি তালুকদার ও ইরফান শুক্কুর রান তুলছিলেন দ্রুত। ৩৫ রানে ফিরে যান রনি, তারপরও শুক্কুর সুযোগ পেলেই চড়াও হচ্ছিলেন। ১৫.৩ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে মোহামেডান। এরপর ৩৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন শুক্কুর, মড়ক লাগে মোহামেডানের।

বিজ্ঞাপন

৪৭ রান তুলতেই হারিয়েছে শেষ ৭ উইকেট, ৩০.৪ ওভারেই অলআউট হয়েছে ১৪৭ রানে। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি ও মিরাজ, তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিজয়। আবাহনীর এটি টানা ষষ্ঠ জয়, আর ছয় ম্যাচে এটি মোহামেডানের তৃতীয় পরাজয়।

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন