বিজ্ঞাপন

পুলিশের হুইসেলে দৌড় দিলে গণআন্দোলন হবে না: টুকু

March 6, 2020 | 8:52 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুলিশের হুইসেলে দৌড় দিলে গণআন্দোলন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আজ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য একটা শক্তি বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এই শক্তিটি বড় শক্তি। এই শক্তিকে ধ্বংস করতে হলে গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন। কিন্তু পুলিশের হুইসেলে দৌড় দিলে গণআন্দোলন হবে না। বিএনপির আন্দোলনের মূল শক্তি ছাত্রদল। তারা যদি রাজপথ প্রকম্পিত করতে না পারে, তাহলে আমার মতো ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বা সেলিমা রহমানের মতো ৬৯/৭০ বছরের বুড়োদের দিয়ে আন্দোলন হবে না। আমাদের ডাকে মানুষ আসবে না। আন্দোলনে মানুষ আসে যেখানে তারুণ্য থাকে।’

শুক্রবার (৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

অতীত আন্দোলনের ইতিহাস টেনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আজ ব্যক্তি সর্বস্ব দলের অবস্থা হয়েছে। ব্যক্তির নাম বলতে হবে, তাহলে হাতের তালি পড়বে। এই দিয়ে আন্দোলন হয় না। ঊনসত্তরের আন্দোলনের দিন আগুনটা জ্বলেছিল আসাদের রক্ত দিয়ে, আসাদ জীবন দিয়েছে। আসাদের লাল শার্ট ছিল সেই আন্দোলনের মূলমন্ত্র। যে আন্দোলন মাওলানা ভাসানী এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেয়েছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

টুকু বলেন, ‘আন্দোলন করতে হলে আগে নিজেদের তৈরি হতে হবে। অবস্থা যেখানে চলে গেছে, এখন যদি বুকের রক্ত না দেওয়া যায় তাহলে আন্দোলন জমবে না, জনগণ এগিয়ে আসবে না। সেটা করতে পারে একমাত্র ছাত্ররা। আমরাও সেটা করেছি।’

‘তোমাদের বলতে চাই, নিজের এলাকায় গিয়ে দুর্গ গড়ে তোলো। তখন দেখবা আন্দোলন শুরু হয়ে গেলে এমনিতেই নাম এসে যাবে, হাতের তালি দিতে হবে না,’— বলেন টুকু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা এক ঘোর অন্ধকারে মধ্যে বাস করছি। খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে অবৈধভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা পর্যন্ত ওরা (সরকার) করতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের তারুণ্যের প্রতীক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তারা জানে, তারেক রহমান দেশে এলে আরেকজন জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটবে। তাই তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিলুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন