বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস গোপন করতে চেয়েছিল সরকার: ফখরুল

March 9, 2020 | 5:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার করোনাভাইরাসের বিষয়টি গোপন করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গ্রন্থ ‘প্রগতি ও সত্যের সন্ধ্যানে’ এবং ‘মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খণ্ডচিত্র’ প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে এতদিন কিছু বলেনি। তারা খুঁজে পায়নি, কী কারণে পায়নি তা জানি না। হঠাৎ করে কালকে খুঁজে পেয়েছে। যখন বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তখনই এই তিনজনের নাম আসলো।’

বিজ্ঞাপন

‘আমার ধারণা তারা পুরোপুরি জিনিসটাকে গোপন করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাধিটি বাংলাদেশে অনেক আগেই এসেছে বলে অনেকের ধারণা। এই ধারণাগুলো সত্যিকার অর্থে এখন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই বিষয়ে সরকারের যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে এয়ারপোর্ট, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগানো প্রয়োজন।’

চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্ধারিত করে দেওয়া দরকার বলেও মন্ত্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে এ ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মুক্ত আছেন, জামিন পেয়েছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, একই মামলায় বিচার বিভাগ অন্যদের মুক্তি দেন তখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন না কেনো?’

পিরোজপুরের ঘটনা টেনে ফখরুল বলেন, ‘কোথায় বিচারবিভাগ? আইন সকলের জন্য সমান অধিকার সে অধিকারগুলো কোথায়? গণতন্ত্রই যদি না থাকে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি ধ্বংস করে দেওয়া হয় তাহলে সেখানে কিছুই গড়ে উঠে না। আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে চুরমার হয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কী ধরনের অশালীন কথাবার্তা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০০ টাকার মেজর তার একদিনের একটা বাঁশির ফুয়ে স্বাধীনতা আসেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, একজন মেজরের বাঁশির সুরে সমগ্র জাতি স্বাধীনতার জন্য এগিয়ে আসে। আপনার তখন কেউ পলায়ন করেছিলেন, কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘অন্যকে অপমান করার মধ্য দিয়ে মহত্ব গড়ে ওঠে না। আজকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান আছে তাদেরকে স্বীকার করে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি দুর্ভাগ্যক্রমে তারা অন্য কাউকে স্বীকার করতে চায় না। না স্বীকার করতে চান, তাজউদ্দিন আহমেদকে, জেনারেল ওসমানীকে, না শহীদ জিয়াউর রহমানকে। অন্যান্যদের কথা বাদই দিলাম।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সাবেক উপচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুসতাহিদুর রহমান, ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড এর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন