বিজ্ঞাপন

প্রেমিকার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে যুবকের বস্তাবন্দি মৃতদেহ

March 10, 2020 | 4:02 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নরসিংদী: পরকীয়া সম্পর্কের জেরে আল-কাইয়ুম নিপুণ (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর পলাশে। সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আল-কাইয়ুম নিপুণ।

বিজ্ঞাপন

নিহত নিপুণ নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা বিদেশ থাকে। আর সে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় তার মা, ভাই, স্ত্রী ও তার ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত নিপুণের সঙ্গে ভ্যাগের পাড়া গ্রামের এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার সুমির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এর জেরে সুমির পরিবারের লোকজন কাইয়ুমকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনার পাঁচদিন পর সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নিপুণের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

নিপুণের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু জানান, তার ভাই গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে তাকে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী মডেল থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বিজ্ঞাপন

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্রধরে তদন্তে নামে পুলিশ। কল লিস্টে মোকারমের স্ত্রী সুমির সঙ্গে একাধিক মোবাইল কলের যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমিকে আটক করা হয়। পরে সুমির দেওয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমিসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন