বিজ্ঞাপন

ভোট পেছানোর পক্ষে শাহাদাত, রেজাউল বললেন ইসির এখতিয়ার

March 19, 2020 | 1:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নিলে সেটা মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বলেও মনে করেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সার্বিক পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে পূবনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে ঢাকায় ফিরে গেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সকালে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘জনসমাগম এড়াতে বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। কমিশনার স্যার ঢাকায় ফিরে গেছেন।’

এদিকে সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেজাউল বলেন, ‘নির্বাচন পেছানো ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। ম্যাসিভ আকারে যদি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে দেখা দেয়, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সেটা দেখবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটা তো একটা দৃশ্যমান জিনিস। লুকানোর মতো কোনো ব্যাপার না।’

বিজ্ঞাপন

‘আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন সেরকম কোনো পরিস্থিতি দেখলে যে সিদ্ধান্ত নেবে, অবশ্যই সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলব। তবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারি বা দুর্যোগ আকারে দেখা দেয়নি। যদি দেয়, তখন নির্বাচন বন্ধের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন যদি তারা মনে করে, নির্বাচন পেছানো দরকার, এটা তাদের এখতিয়ার।’

প্রচারণায় জনসমাগমের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন তো নির্বাচনের প্রচারণা ঘরে বসেই করা যায়। আমাদের সংগঠন বড়। প্রচারে গেলে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। তবে আমরা যেখানে প্রচারে যাচ্ছি, সেখানে সবাইকে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে বুধবার নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন করোনা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। শাহাদাত বলেন, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও আতংক দেখা দিয়েছে। তাই জনগণের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যদি ভোটার না আসে তাহলে সেই নির্বাচনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। জনগণকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি। জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে তাহলে সেই বিষয়টি কমিশনকে ভেবে দেখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। তবে করোনা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট পেছানোর দাবিতে সরব প্রচারণা চলছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৪ জন। ইতোমধ্যে সরকার দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে। জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রার্থীদের প্রচার—প্রচারণায় গণজমায়েত-সমাবেশ পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন