বিজ্ঞাপন

কেপ টাউনে ভুগেছিল, সহযোগিতার হাতও বাড়ালো

February 27, 2018 | 7:50 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে মহাবিপদে পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সফরকারী ক্রিকেটারদের দুই মিনিটের মধ্যে গোসল সেরে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। অনুরোধ করা হয়েছিল কম করে পানি খরচের। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দেড় মাসের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে কেপ টাউনে থাকা অবস্থাতেই ভুগতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে।

সেখানে তিনটি টেস্ট, ছয়টি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে শুরুতেই ভারতকে উঠতে হয়েছিল কেপ টাউনের টিম হোটেলে। দ্রুত গোসল সেরে ফেলতে বলার পেছনে মূল কারণ ছিল সেই শহরের পানির সঙ্কট।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কেপ টাউনের নগর কর্তৃপক্ষ পানি ব্যবহারের উপর কঠোর কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। যখন ভারতীয় দল কেপ টাউনে অবস্থান করছিল তখন শহরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে পৌঁছায়। টিম হোটেলে পৌঁছানোর পরই পানি সাশ্রয়ের জন্যে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোহলি বাহিনীকে এই অনুরোধ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, এক মাসে একটি পরিবার ১০,৫০০ লিটার পানি খরচ করতে পারবে। অথবা এক ব্যক্তি একদিনে ৮৭ লিটার পানি ব্যবহার করতে পারবেন। শহরের বেশিরভাগ মানুষই কর্তৃপক্ষের এই বিধিনিষেধ মেনে চলতে শুরু করেন। কারণ, এই সীমা লঙ্ঘন করলে তাদেরকে ৮০০ ডলার জরিমানা করা হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

কেপ টাউনে টিম ইন্ডিয়া প্রথম টেস্ট, তৃতীয় ওয়ানডে ছাড়াও সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছে। সফরের শেষ ম্যাচটি ছিল সেখানেই। শেষ ম্যাচের আগে কেপ টাউনে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পানি সমস্যায় কথা জানান। দুই অধিনায়কই কিছু একটা করার পরিকল্পনা করেন।

ফাফ ডু প্লেসিস জানান, ‘আমরা দুই দলই পানির সমস্যায় ভুগেছি। ভারতীয় অনেক ক্রিকেটারই এমন জায়গা থেকে এসেছেন যাদের নিজের এলাকাতেও রয়েছে পানির তীব্র সঙ্কট। আর এ কারণে তারা কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অনুরোধের মর্ম বুঝতে পেরেছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নেই দলের সকলের স্বাক্ষরিত জার্সি নিলামের জন্য তোলা হবে। সেটি বিক্রির টাকা কেপ টাউনের নগর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে পানি সমস্যা দূরিকরণের জন্য। আমরা এমন একটি বার্তা দিতে চেয়েছি, যা দেখে অন্য প্রতিষ্ঠান এবং স্পোর্টস রিলেটেড সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

ভারতের অধিনায়ক কোহলি জানান, ‘বিশ্বের সুন্দর জায়গাগুলোর একটি হলো কেপ টাউন। সেখানে ভ্রমণ আর খেলা তৃপ্তিদায়ক। সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা কতটা আতিথ্য পরায়ন আমরা না গেলে বুঝতে পারতাম না। পানি সমস্যা দূর করতে আমরা দুই দলের খেলোয়াড়রা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। অন্যদের এগিয়ে আসতে হবে।’

কিন্তু কত টাকা দিতে পেরেছে দুই দল? খুব বেশি না হলেও তা কমও নয়। দক্ষিণ আফ্রিকান টাকায় ১ লাখ। টাকাটা দুই দলের অধিনায়ক দিয়েছেন ‘গিফট অব দ্য গিভারস’ এর চেয়ারম্যান ড. ইমতিয়াজ সুলায়মানের হাতে। তিনি জানান, ‘আমি দুই দলকেই সাধুবাদ জানাই। তারা যা করেছে অন্যদের জন্য সেটা একটা দৃষ্টান্ত। যেসব এলাকায় পানির তীব্র সমস্যা সেসব এলাকায় আমরা এই টাকা ব্যয় করবো।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন