বিজ্ঞাপন

করোনার ত্রাণ ‘আত্মসাতে’র অভিযোগ আ.লীগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

April 5, 2020 | 2:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আসা ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের আট জন নির্বাচিত সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অনাস্থা এনেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিনি সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ এপ্রিল) হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিনের কাছে তারা অনাস্থাপত্র দেন।

অভিযুক্ত নুরুল আবছার ২০১৬ সালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে যেসব ইউপি সদস্য অনাস্থা এনেছেন তারা হলেন— গাজী মো. আলী হাসান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. আলী, মো. আবদুল লতিফ, লাকি আকতার. জালাল আহমেদ ও সাজেদা ইয়াসমিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে আট ইউপি সদস্যের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছেন। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ইউপি সদস্যদের না জানিয়েই। এছাড়া করোনা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি থাকা হতদরিদ্রদের তালিকা প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও ইউপি সদস্যদের জানানো হয়নি। এর ফলে আদৌ করোনার ত্রাণ ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছেছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তারা।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় অভিযোগগুলো বিবেচনা করে মির্জাপুর চেয়ারম্যান নুরুল আবছারকে বরখাস্তের দাবি করেছেন ওই আট ইউপি সদস্য।

জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকজন ইউপি সদস্য আমার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, করোনা নিয়ে চেয়ারম্যান কাদের ত্রাণ বিতরণ করছেন, সেটা তাদের জানানো হয়নি। চেয়ারম্যানের বানানো তালিকার কোনো ভিত্তি নেই বলছেন তারা। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যত বরাদ্দ যায়, সেগুলো ব্যবহারের বিষয়ে চেয়ারম্যান নিজেই সিদ্ধান্ত নেন বলে তারা জানিয়েছেন। আমি চিঠি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি। স্যারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার জন্য আমার কাছে সরকারিভাবে বরাদ্দ এসেছে ১০৩ পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে চাল। আর এমপি সাহেব দিয়েছেন ৫০ পরিবারের জন্য। এই সামান্য চালও আমি আত্মসাৎ করব? রাজনীতি করি বলে কি এত নিচে নেমে যাব? এখানে একজন মেম্বার আছেন, যিনি ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি। প্রায় মিটিংয়ে উনার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হয়। আবার উপজেলায় হাইব্রিড আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ আছে, যারা আমাকে পছন্দ করেন না। এই হাইব্রিড আওয়ামী লীগাররাই ওই মেম্বারকে দিয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন