বিজ্ঞাপন

অতীতের সরকারের সাথে আমাদের চিন্তার তফাত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

March 1, 2018 | 12:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতীতের সরকারগুলোর সঙ্গে তার সরকারের চিন্তার তফাত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় চিন্তা করি আত্মমর্যাদাশীল একটি দেশ গড়ে তুলবো। কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে চলবো না। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এ ধরণের কথা চিন্তা করেনি।’

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৩-এর পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কথাটা আমি এ কারণে বলছি ১৯৯৮ যখন আমরা যখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার খবর পেলাম তখন বিরোধী দল ছিলো বিএনপি। তখন তারা উঠে দাঁড়িয়ে বললো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। তাহলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন ছিলো আমরা কি ভিক্ষুক জাতি হবো নাকি? আমরা কি সারা জীবন অন্যের কাছে ভিক্ষা চেয়ে চলবো নাকি? অর্থাৎ তাদের চেষ্টাটা ওটাই ছিলো।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, নিজের দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াবো, নিজের দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করবো অতিরিক্ত অংশ প্রক্রিয়াজাত করে বাইরে রপ্তানি করবো। তারা চিন্তা করেছে আমরা যতো আমদানি করতে পারবো ততোই আমাদের ব্যবসা বাড়বে। পকেটে কাঁচা টাকা আসবে। তাদের সঙ্গে এই ধরণের চিন্তার একটি তফাৎ রয়েছে।’

কারও কাছে হাত পেতে চলবো না,  ‘আমরা সবাই মর্যাদার সাথে বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলতে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যের কাছে হাত পেতে দেশের গরীব মানুষ, হাড্ডিসার-কঙ্কালসার মানুষকে দেখিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ চেয়ে আনবে, নিজেরা ব্যবসা করবে আর পেট পুরে খাবে। হাড্ডিসার কঙ্কালসার মানুষগুলো ওইভাবেই থাকবে। এটাই ওদের মানুসিকতা।ইতোমধ্যে অপনারা দেখেছেন যে, সেটা আমরা অনেকাংশেই করেছিলাম। এর পর তারা ক্ষমতায় এসে অনেকটাই নষ্ট করে দিয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার আমরা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আসার ফলে দেশের উন্নয়নটা দৃশ্যমান হচ্ছে। দেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। সরকারের ধারাবাহিকতা অাছে বলেই, দেশের উন্নয়ন যেমন দৃশ্যমান, তেমনি মানুষও সব দিক থেকে স্বস্তিতে বাস করতে পারছে। আওয়ামী লীগ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণ হয়েছে। সারের দাবিতে অান্দোলন করা কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলো বিএনপি। অাওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের হাতে সার পৌঁচ্ছে দিচ্ছে। গবেষণার কারনে শীতকালীন সবজিসহ সব সবজি সারা বছরই পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান সরকারের কৃষিতে সফলতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরীব কৃষকরা যাতে নায্যমূল্যে বীজ পেতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিএডিসিকে নতুন করে গড়ে তুলেছি। বিভিন্ন ফসলের সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিকটন মানসম্পন্ন বীজ আমরা বিএডিসির মাধ্যমে বিতরণ করেছি নয় বছরে। বাংলাদেশে যতগুলো খাল বা পুকুর আছে সবগুলো আমরা সংস্কার করবো যাতে সেখানে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মাছের উৎপাদন বাড়ে। এ ছাড়া কৃষিতে পানি সেচে আমরা ভূগর্ভস্থ পানি সেচের ব্যবহার হ্রাস করে ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। যাতে করে পানির স্তর নিচে নেমে যাবে না। সে ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমরা বিভিন্ন জায়গায় সোলার প্যালেন অর্থাৎ সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের কৃষকদের সহায়তার জন্য আমরা কৃষকদের উপকরণ, কার্ড দিচ্ছি। দুই কোটির বেশি কৃষক সেই কার্ড পাচ্ছে। যেখান থেকে সে সহজ মূল্যে কৃষি উপকরণ ক্রয় করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি। কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। তাতে ভর্তুকিসহ যে কোনো সহায়তা সরাসরি কৃষকের কাছে যায়। যত টাকা প্রয়োজন হয় সেটা ব্যবহার করে বাকি টাকা তারা সঞ্চয় করে।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন