বিজ্ঞাপন

করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে জিইডি

April 12, 2020 | 9:21 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স স্ট্যাাডিজকে’ (বিআইজিডি)। ইতোমধ্যেই সংস্থাটি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ এপ্রিল) সারাবাংলার কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের পর এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের এই বিস্তৃতি আমাদের নতুন একটা বিশ্বপরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। নতুনভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। এটি মূলত বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা। আমাদের দেশেও বিস্তার লাভ করছে। এই মুহূর্তে প্রধান কাজ হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। তাই তালাবদ্ধ অবস্থা সৃষ্টি করে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার দ্রুততার সঙ্গে কিছু পুর্ণবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতিকালে প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও তাৎক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জিইডি মনে করে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকানো। কেন না বাংলাদেশ ঘনবসতি পূর্ণ। এ দেশে করোনার বিস্তৃতি রোধ করতে না পারলে বড় ক্ষতির আশংকা রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে করোনা বিস্তৃতি ঠেকানো গেলে পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বাজার ব্যবস্থা পূর্ণস্থাপন করতে হবে। যদিও এখনো কৃষি পণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহ অব্যাহত আছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেটি বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আগামী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস পূনর্বাসন কার্যক্রম জোরদারের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মাধ্যমে এই ছয় মাসের স্বল্প মেয়াদি কার্যক্রমের পাশাপাশি পরবর্তী দুই বছরের জন্য অর্থনীতি পূনরুজ্জীবিত করতে কাজ করা হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা সেইভাবে পুর্ণবিন্যাস করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, আগামী ২১ সালের মধ্যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা মনে করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় মাসে অর্থনীতিকে যদি স্বাভাবিক অবস্থায় নিতে পারা যায় তাহলে ২১ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রচেষ্ট রয়েছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে সবকিছু মোকাবিলা সম্ভব নয়। এই দুর্যোগে দেশের মানুষকে যেমন এগিয়ে আসতে হবে, তেমনি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। এই সময়ে দেশের জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন