বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লকডাউন, ফটিকছড়ির প্রবেশপথ অবরুদ্ধ

April 15, 2020 | 8:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলাকে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলার সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের একটি উপজেলায় সর্বোচ্চ পাঁচজন কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে আলম।

ইউএনও নুরে আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলার সঙ্গে সাতকানিয়ার পাঁচটি প্রবেশপথ আছে। সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি এবং যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া কেউ সাতকানিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ সাতকানিয়া থেকে বের হতেও পারবে না। লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে। ঘর ছেড়ে যাতে কেউ বের হতে না পারেন, সেজন্য ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সকল এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে নিয়মিত টহল থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। এরপর ওষুধ ও জরুরি মেডিকেল সার্ভিস ছাড়া সব ধরনের দোকান ও সেবা বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনেই সাতকানিয়া উপজেলার। আক্রান্ত সবাই উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢেমশা ইছামতি আলীনগর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল একই এলাকার ৬৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারা যান। ১২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সর্বশেষ আক্রান্ত পাঁচজনের একজন ওই বৃদ্ধের ছেলে। বাকি চারজনের দুজন ওই বৃদ্ধের ভাতিজা, একজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।

এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়ও ১৩ প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলায় প্রবেশ এবং বের হওয়া সীমিত করতে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন।

বিজ্ঞাপন

ফটিকছড়ি উপজেলার ফটিকছড়ি থানার অংশে আছে আটটি প্রবেশপথ। এগুলো হচ্ছে- নাজিরহাট পৌরসভার ঝংকার নতুন ব্রিজ, টেকের দোকান নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়াবাজার আর্মি ক্যাম্প, লক্ষ্মীছড়ি-কাঞ্চননগর সড়ক, রোসাংগিরি-ধলইঘাট, জাফতনগর ইউনিয়নের তকিরহাট বাজার, ধর্মপুর ইউনিয়নে রাউজান-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়ক এবং সমিতিরহাট ইউনিয়নের দরগাহ রোড।

উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নে আছে পাঁচটি প্রবেশপথ। এগুলো হচ্ছে- বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডের দোকান, দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজার, নারায়ণহাট ইউনিয়নের শ্বেতছড়া বাজার, নেপচুন বাজার এবং ভুজপুর ইউনিয়নের গাড়িটানা এলাকা।

ইউএনও সায়েদুল আরেফিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা থেকে প্রচুর লোকজন ফটিকছড়িতে প্রবেশ করছে। অথচ এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যাবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাদের কারণে ফটিকছড়ি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে। এজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে প্রবেশপথগুলোতে কিছুটা কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন