বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআর হেফাজতে কোয়ারেনটাইনে ৩৯৬ রোহিঙ্গা

April 17, 2020 | 12:58 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: নৌপথে মালয়েশিয়া গিয়ে দেশটিতে ঢুকতে না পেরে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কাছে তাদের হস্তান্তরের পর তাদের তত্ত্বাবধানেই রাখা হয়েছে রোহিঙ্গাদের। টেকনাফ ও ঘুমধুমে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এসব রোহিঙ্গাদের টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে নিয়ে আসা হয়। কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করেন।

গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুরের জাহাজ ঘাট থেকে এই ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। তাদের বহনকারী জাহাজটি ওই সময় জব্দ করা হয়।

ইউএনএইচসিআর সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুরের জাহাজঘাট থেকে আটক ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হবে। আগে থেকে প্রস্তুত রাখা টেকনাফ ও ঘুমধুম ট্রানজিট সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হবে তাদের।

বিজ্ঞাপন

টেকনাফ স্টেশন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম সোহেল রানা সারাবাংলাকে বলেন, টেকনাফ জাহাজপুরা ঘাট থেকে আটক করা হয় ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ মানবিক সেবা দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করা হলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হবে। টেকনাফ কেরুনতলী ও ঘুমধুমে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামসুদ্দুজা নয়ন জানান, ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে এসব রোহিঙ্গাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হবে। রোহিঙ্গাদের কে কোন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা যাচাই করা হচ্ছে। কোয়ারেনটাইন শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রোহিঙ্গারা জানান, দুই মাস আগে ৪২২ জন মিলে একটি ট্রলারে করে মালয়েশিয়ার পথে রওনা দেন। মালয়েশিয়া উপকূলে কড়াকড়ির কারণে তারা দেশটিতে ঢুকতে পারেননি। পরে আবার তারা দেশে ফিরে আসেন। এই দুই মাসে তাদের অনেকেই সাগরেই মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন