বিজ্ঞাপন

‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পিপিই তৈরি করছি’

April 19, 2020 | 10:15 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই দেশে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে করোনার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করি। আমরা তখন থেকে পিপিই তৈরি করছি।

রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পিপিই তৈরির জন্য ওষুধ প্রশাসন (অধিদফতর) থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছিল। আমরা সেই অনুমোদন নিয়ে তখন (ফেব্রুয়ারির মাঝামাছি) থেকে পিপিই তৈরি করছি। আমরা কোনো সময় নষ্ট করিনি। কিটও (করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট) আমরা প্রথম পেয়েছি ২৩ ফেব্রুয়ারি। তখন থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা কোনো সময় নষ্ট করতে দেইনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথম যখন চীন থেকে লোক এলো, আশকোনায় রাখলাম। তখন থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল আমরা তৈরি করেছি। আমরা কোনো সময় নষ্ট করিনি। ফেব্রুয়ারির শেষেই আমরা দেশের সব হাসপাতালকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

ঢাকা-না.গঞ্জ থেকে ছড়িয়েছে করোনা

বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে জানার জন্য কথা বলে থাকি। যতটুকু জানতে পেরেছি, বিভিন্ন এলাকায় যত করোনা রোগী পাওয়া গেছে, তার প্রায় সবই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছে। এরাই মূলত সারাদেশে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। এখনো তারা বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্নভাবে লুকিয়ে এ কাজটি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পজেটিভ কেস তিনশ’র মধ্যে রয়েছে। যদি অতিরিক্ত না বাড়ে, তবে আমরা ভাগ্যবান। আর যদি অনেক বাড়তে থাকে, তাহলে এটা আশঙ্কার কারণ। অর্থাৎ, প্রথমত লকডাউন যে হারে আমরা আশা করছি, সে হারে কাজ করছে না। লোকজন আক্রান্ত এলাকা থেকে ভালো এলাকায় যাচ্ছেন। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ইউরোপ-আমেরিকার পরিস্থিতির সঙ্গে ‍তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আক্রান্তের সপ্তম সপ্তাহে আছি। ঠিক এরকম সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপে লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছিল। হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি স্বাস্থ্য নির্দেশিকগুলো না মেনে চলি, আমাদের ফলাফলও ভালো হবে না। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আনুমানিক শতকরা ৮০ ভাগ কোভিড-১৯ রোগী এমনিতেই বিনা চিকিৎসায় সেরে ওঠেন। ১৫ শতাংশ রোগীরা হাসপাতালে অবজারভেশনে থাকেন এবং সামান্য কিছু পরিচর্যা প্রয়োজন হয়। বাকি পাঁচ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা লাগে। আর কিছু রোগীকে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়।

এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৬ জনে। একই সময়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে মারা যাওয়া সাত জনের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ, দুই জন নারী। এর মধ্যে তিন জন ঢাকার, চার জন নারায়ণগঞ্জের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন