বিজ্ঞাপন

গাজী ভাইকে ধন্যবাদ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

April 29, 2020 | 2:24 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করার জন্য পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) ল্যাব স্থাপন করায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে তিনি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সহধর্মিনী হাছিনা গাজী ও সন্তান গাজী গোলাম মর্তুজাসহ এই ল্যাব প্রতিষ্ঠায় যুক্ত গাজী গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সবাইকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দেশের প্রথম কোনো বেসরকারি করোনাভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের প্রথম এই করোনা পরীক্ষার বেসরকারি ল্যাবের উদ্যোক্তা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সন্তান গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আমাদের প্রিয় সজ্জন, প্রিয় বন্ধু গোলাম দস্তগীর গাজী ভাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার উদ্যোগেই আজ নারায়ণগঞ্জে এই ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ করোনাভাইরাসের জন্য বাংলাদেশে একটি হটস্পট। যেখানে একটি পিসিআর ল্যাব খুবই প্রয়োজন ছিল। সেই ল্যাবটি উনি নিজ উদ্যোগে স্থাপন করেছেন। তার জন্য উনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সহধর্মিনী, তার সন্তান এবং তার প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডি যারা আছেন, যারা যারা এই উদ্যোগে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকেও আমার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও এখানে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, এসপি ও আওয়ামী লীগের নেতা যারা উপস্থিত আছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি এই কোভিড-১৯ যুদ্ধে সরাসরি আমাদের সাহায্য, সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন, নারায়ণগঞ্জ করোনাভাইরাসের একটি হটস্পট। বাংলাদেশের কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত যত রোগী আছে, তার একটি বড় অংশ এখানকার। এখানে এই পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে আমি মনে করি আমাদের রোগীর শনাক্তকরণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলো। এর মাধ্যমে আমাদের রোগীকে আইসোলেশনে নেওয়া, চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেলো। আমি মনে করি এর ফলে সংক্রমণ কমবে এবং অনেক জীবন রক্ষা পাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কয়েকমাস আগে একটিমাত্র ল্যাব নিয়ে করোনা পরীক্ষার কাজটি শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের ২২টি ল্যাবে সেই পরীক্ষা চলছে। আজ বেসরকারিভাবে এই প্রথম করোনা পরীক্ষার ল্যাব চালু হলো। তার জন্য আমি সত্যিই আনন্দিত। এই সময় এই ল্যাবটি চালু হওয়াতে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরাট উপহার হলো, বিরাট সাহায্য হলো।

‘আমি আশা করব, আরও যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশে, তারাও গাজী গ্রুপের মতো তাদের এলাকায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনে এগিয়ে আসবেন। এর মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষার সক্ষমতা আরও বাড়বে। আমরা যত বেশি পরীক্ষা করতে পারব, তত বেশি শনাক্ত হবে এবং তত বেশি রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিতে পারব। এতে করে সংক্রমণ কমে যাবে,’— বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১১০টি কোভিড হাসপাতাল আমরা এরই মধ্যে স্থাপন করেছি। নারায়ণগঞ্জেও এই হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় পিপিই সরবরাহ করছি। আমরা লক্ষাধিক লোককে কোয়ারেনটাইনে রেখেছি এবং তাদের দেখাশোনা করেছি। এখন বাংলাদেশ বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো আছে। এর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সবাই ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের পরিচালকেরা কাজ করছেন। পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করছেন। সবার কাজের সম্মিলিত প্রয়াসেই আমরা আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটাও জোর গলায় বলি, আমরা ভালো রেখেছি বিধায় আজ দেশে কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। আমাদের কিছু পোশাক কারখানা খুলেছে, কৃষিকাজ শুরু হয়েছে। মানুষের মনে সাহস এসেছে, কনফিডেন্স এসেছে। আমাদের তো একদিকে কোভিডের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে, আরেকদিকে দেশের অর্থনীতিও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমি গাজী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। তারা ভালো সময়েও বাংলাদেশকে খেলাধূলা উপহার দিয়ে থাকেন। আজ একটা ক্রাইসিস মোমেন্ট আছে দেশে। সেই ক্রাইসিস মোমেন্টেও তারা এগিয়ে এসেছেন, যার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার একটা ভালো ব্যবস্থা করে দিলেন। এর জন্য গাজী গোলাম দস্তগীর ভাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধিদফতরের পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জের প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন