বিজ্ঞাপন

বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু

May 2, 2020 | 6:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর বৃস্পতিবার থেকে স্বল্প পরিসরে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল-পেট্রাপোলের লিংক রোডের নো ম্যান্স ল্যান্ডে প্রথমে পঁচনশীল পণ্য ভারতীয় ট্রাক থেকে আনলোড করে বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করা হচ্ছে। সাধারণত এখন জিরো পয়েন্টে কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের ব্যবসায়ী নেতা ও কাস্টমস, বন্দরের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় এই আমদানি রফতানি চালু হয়েছে। তবে ভারতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে না। ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাক নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে পণ্য লোড করে নিতে হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। পচনশীল পণ্য ভুট্টা, পাটের ও মেসতা বীজ এবং পান জাতীয় পণ্য আসছে। আশা করা হচ্ছে ধারাবাহিকভাব সব পণ্য আসবে। এরপর আস্তে আস্তে আরও পণ্য বৃদ্ধি পাবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে কথা বলে আসছিলাম রাজ্য সরকারের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পুলিশের একটি নির্দেশনা ছিল কোনো চালক গেলেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ভয়ে কোনো চালক আসতে চাননি। এছাড়া আমদানি রফতানি চালু করতে ভারতীয় হাউ-কমিশনার অনেক কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এখন জিরো পয়েন্টে কাজ চলছে। কিন্তু আমরা এই পরিসর বাড়াতে চাই। এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আগে ছাড়করণ করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুতই সবকিছু বড় পরিসরে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বাণিজ্যের দিক দিয়ে দেশে চট্রগ্রাম বন্দরের পর বেনাপোল বন্দরের অবস্থান। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রথম থেকেই এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ বেশি। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি ও রফতানি হচ্ছে। যার মধ্যে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে।

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন