বিজ্ঞাপন

পুলিশ বাহিনী চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

May 4, 2020 | 9:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সত্যিই পুলিশ সারা বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। ধন্যবাদ পুলিশবাহিনীকে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলার কার্যক্রম সমন্বয় তদারকির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এর আগে কয়েক দফায় দেশের বাকি বিভাগের জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ যথেষ্ট ভাল কাজ করছে। তাদের বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এবং কয়েকজন তো মারাও গেল। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

তার আগে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মনে রাখতে হবে। শুধু আমরা না সারা বিশ্বব্যাপী এই অবস্থাটা চলছে। যদিও এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করায় আমরা ভালো ফলাফলও পাচ্ছি। আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’ সেইসঙ্গে যারা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে করোনা মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্রবাহিনী, বিজিবি, আনসার ভিডিপি প্রত্যেকেই যার যার জায়গায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মৃতদেহ অনেকের আত্মীয়-স্বজন নিতে চায় না। সেই মৃতদেহও পুলিশ দাফন করছে। সেইসঙ্গে ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও আমি নির্দেশ দেওয়াতে তারাও আজ মাঠে নেমেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধানকাটার সমস্যা হচ্ছিল প্রতিটি জেলায়। এই ধানকাটায় আমাদের নেতাকর্মীরা বিশেষ করে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রাখেছে। তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজের হাতে কাঁচি নিয়ে তারা ধান কেটে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’ পাশাপাশি যারা মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে, যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘যারা কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হবেন, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব এবং কেউ যদি খোদা না করুক মৃত্যুবরণ করেন, তাদের পরিবারকে দেখাশোনার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই প্রত্যেকের জন্য পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি বা সহযোগিতা করছি। বেসরকারি খাতেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্ত অনেকেই এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যারাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন