বিএনপির মহৎ উদ্যোগকে তাচ্ছিল্য করছেন মন্ত্রীরা: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা নিরাপদ স্থানে বসে বিএনিপর মহৎ উদ্যোগকে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সারাদেশে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গত একযুগ ধরে ক্ষমতাসীনদের জেল জুলুম হয়রানি ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার। তারপরও জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি বসে নেই। ‘সতর্কতা-সহায়তা-মানবিকতা’— এই চেতনায় সারাদেশে চলছে বিএনপির মানবিক সহায়তা কর্মসূচি।’

‘কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিএনপির এই ইতিবাচক কাজ সহ্য করতে পারছে না। কোথাও কোথাও আমাদের যেমন ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনিভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে’— বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে গোটা বাংলাদেশ এখন বিপর্যস্ত। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ আর মৃত্যুর হার। মাত্র দুই মাসেই ‘এশিয়ার হটস্পটে’ পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। জনতত্ত্ব-ঘনবসতি ও আক্রান্তের হার হিসাবে সংক্রমণের এ সূচক ভয়ঙ্করভাবেই স্পষ্ট। আক্রান্তের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থাকলেও সংক্রমণ হারে এশিয়ার অর্ধশতাধিক দেশের শীর্ষে এখন বাংলাদেশ।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা এক অচিন্তনীয় দুর্দিন পার করছি। মানুষের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে এক অজানা ভয় আর আতঙ্কে। একদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভয় অপরদিকে খাদ্যাভাব। চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। দেশে প্রতিদিনই বেড়ে চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আরও অধিক সংখ্যক মানুষকে টেস্টের আওতায় আনা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে— এমনটাই মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই সরকারকে দেশে দেশে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব সম্পর্কে সতর্ক করে আসছিলাম। প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলাম। জনগণকে সচেতন করছিলাম। কী কী করা উচিৎ এবং উচিৎ নয়, সে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অথচ দেখলাম ভিন্ন চিত্র।’

‘বিশ্বকে থমকে দেওয়া মহামারি করোনা ভাইরাসের মতো এমন ভয়াল-বিপদজনক ঘাতক ব্যধি নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন সরকার এবং তাদের মন্ত্রীরা ‘গুজব আর ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এই মে মাসেই আটক করা হয়েছে আটজন সাংবাদিককে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, জনগণকে ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা রেখে কিংবা জনগণের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে। তবে এতদিন পরে এসে ওবায়দুল কাদেররা মনে হয় পরিস্থিতির ভয়াবহতা একটু আঁচ করতে পেরেছেন’— বলেন রিজভী।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই