May 16, 2020 | 5:55 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রংপুর: জেলার গংগাচড়ায় ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রী এবং আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে একই ঘরে তিন জন খুন হয়েছে এর কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জের ধরলেও আসল রহস্য উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও পিবিআই পৌঁছেছে।
নিহতরা হলো- স্বামী হাফিজুল তার স্ত্রী ফাতেমা ও তাদের আড়াই বছরের কন্যা সন্তান হোমায়রা। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজন পালিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে খাবার শেষে ঘুমিড়ে পড়েন তারা। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে হাফিজুলের বাড়ির লোকজন তিন জনের লাশ দেখতে পায়।
জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে হাফিজুল ফাতেমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যেও তারা ঢাকায় গার্মেন্টস এ কাজ করে। ৩ বছর আগে তারা নিজ গ্রামে ফিরে আসে। এরপর নতুন কোন কাজে যোগ না দিলেও স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়াঝাটি হতো বলে দাবি হাফিজুলের স্বজনদের।
তবে নিহত ফাতেমার পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানায়, নিয়মিত টাকা ও সংসার খরচের জন্য হাফিজুল ও তার পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে নির্যাতন করতো। তাই তারা পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।’ প্রকৃত রহস্য উদ্ধার করতে পুলিশের একটি চৌকস টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও