May 20, 2020 | 5:45 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
ভোলা: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভোলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার (২০ মে) সকাল থেকে পুরো জেলায় ঝড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সারাদিনে জেলায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাবে প্রবল জোয়ারে সাগর উপকূলের ঢালচর ও চরপাতিলা প্লাবিত হয়েছে।
ভোলার ২১টি চর ও নিম্নাঞ্চল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে গড়ে ২০০ জন করে রাখা হয়েছে। সেখানে অবস্থানরতদের জন্য খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাদি পশুকেও নিরাপদে আশ্রয়ে আনা হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা। মেঘনা ও সাগরে মাছধরার নৌকা ও ট্রলার নিরাপদে চলে এসেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করছে সিপিপির ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী ও ৭৯টি মেডিকেল টিম। জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদে আসতে সিপিপি ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের জন্য ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও শুকনো খাবার ও শিশু খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের মানুষকে মূল ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও