বিজ্ঞাপন

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই অর্থ-ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ

May 21, 2020 | 5:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই ঘর নির্মাণ এব অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্দেশ মেনে এরই মধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) কার্যালয় সূত্র বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সাধারণ ছুটির মধ্যে সরকারি ছুটির দিনেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সবসময় খোলা ছিল। অনলাইন ও অফলাইনে প্রধানমন্ত্রী নিজে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভায় অংশ নিয়েছেন তিনি। সবশেষ আম্পান ঘিরে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তার নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সবাই সক্রিয় থাকবেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব জেলা-উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে গত দুই দিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা, আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান, এর পাশাপাশি আজ সকাল থেকেই ত্রাণ বিতরণের কাজও শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত, কৃষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই বৈরী আবহাওয়া দেখা যায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র সংকেতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। পরে বুধবার (২০ মে) বিকেলে মূল ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ে। রাতে খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি। খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট-ঝিনাইদহসহ উপকূলীয় এলাকায় রাতভর তাণ্ডব চালায় ঝড়টি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চল থেকে ঝড়টি রংপুর, দিনাজপুর হয়ে রাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করে বেরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন