বিজ্ঞাপন

অনেক কিছু প্রমাণ করতে চান মাহমুদউল্লাহ

March 4, 2018 | 2:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

দেশ ছাড়ার আগে কাল সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। তখনও অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিতই হয়নি, নিদাহাস ট্রফিতে মাহমুদউল্লাহই থাকছেন অধিনায়ক। আজ বিমানবন্দরেই যাত্রা শুরুর আগে কথা বলে গেলেন, জানিয়ে গেলেন টুর্নামেন্ট জেতাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টিতে যে এখনো অনেক কিছু প্রমাণের আছে, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টিতে যে বাংলাদেশের অনেক কিছু প্রমাণের আছে, সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। সর্বশেষ গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে এসেছিল সর্বশেষ জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই পরাজয় হয়তো অপ্রত্যাশিত নয়, তবে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হার বাংলাদেশকে নতুন করে বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহও তা ভুলছেন না।

‘লক্ষ্য অবশ্যই টুর্নামেন্ট জেতা, এটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য। তবে পাশাপাশি অনেক কিছু প্রমাণ করার বাকি আছে। আমরা কতটুকু ভালো করতে পারি এই সংস্করণে। শেষ সংবাদ সম্মেলনেও আমি এই কথাটা বলছিলাম অনেকের মনে হয়তো একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন আছে এই সংস্করণের শক্তিমত্তা নিয়ে। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিজেদেরকে প্রমাণ করার জন্য। সবার ব্যক্তিগত সেরাটা যদি আমরা আদায় করে নিতে পারি আমার মনে আমাদের খুব ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

ভারত গত বেশ কিছু দিন ধরেই বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। আর শ্রীলঙ্কা তো নিজেদের মাটিতেই খেলবে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না খুব একটা, ‘যে কোন প্রতিপক্ষই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যার বিরুদ্ধেই খেলেন আপনার ভালো খেলতে হবে। আপনি এটা বলতে পারেন ঘরের মাটিতে আমরা খুব ভালো খেলছিলাম এখন আমাদের কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। তবে যেহেতু উপমহাদেশের পরিবেশ, বেশ কয়েকবার আমরা খেলেছিও শ্রীলঙ্কায়, তো ইনশাল্লাহ আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।’

মাহমুদউল্লাহর একই কথার প্রতিধ্বনি নুরুল হাসান সোহানের কণ্ঠেও, ‘এখন যে জিনিসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আমাদের ভালো খেলা। লক্ষ্য থাকবে যেন টিম হিসেবে আমরা ভালো করতে পারি এবং ফাইনাল খেলতে পারি। আপনারা যদি দেখেন লাস্ট কয়েকটা বছর ধরে আমরা ভালো খেলছি। হয়তোবা লাস্ট সিরিজটা আমাদের খারাপ গেছে তাই সবার মধ্যে সেই চ্যালেঞ্জটা আছে যেন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে ভালো খেলতে পারি।’

তাসকিন অবশ্য মানলেন, তাদের কাজটা কঠিন হবে, ‘আসলে এটা টাফ। টাফ চ্যালেঞ্জের মধ্যে খেলতে হবে। যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি গত কদিন। আমার বিশ্বাস আমাদের সামর্থ্য আছে ভালো করার ও ঘুরে দাঁড়ানোর।’

বিজ্ঞাপন

রুবেল হোসেন অবশ্য কথা বললেন পেসার প্রসঙ্গে। শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ সফরে পেসাররাই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। রুবেল এবারও করতে চান ভালো কিছু, ‘পেসারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। টি-টোয়েন্টি শর্ট ভার্সনের খেলা এবং আপনারা জানেন এখানে অনেক চাপ থাকে। আমার কাছে মনে হয় শ্রীলঙ্কার উইকেট খুব সুন্দরই হবে। তাই বোলারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের সিন্সিয়ারলি বোলিং করতে হবে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন